পিপলস রিপাবলিক অব চায়না। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্র। ইরান, ভারত, ইনকা, মায়ার মতো প্রাচীন চীনের সভ্যতা। ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে বিপ্লবের পর এক নতুন চীনের যাত্রা হয়। নানা রকম সংস্কার ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান বিশ্বে চীন অন্যতম এক পরাশক্তি। জিডিপির হিসাবে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ফসল নয়া চীন এখন পুঁজিবাদী বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্র। ঐতিহাসিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে চীনের শক্তি-দুর্বলতা, সাফল্য-ব্যর্থতা ও ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলো নিয়ে লিখেছেন আনু মুহাম্মদ
চীন
বিপ্লবের
প্রত্যক্ষদর্শী
এবং
এর
গদ্যকার
বিদেশীদের
মধ্যে
অন্যতম
হলেন
এ
উইলিয়াম
হিনটন।
১৯১৯
সালে
শিকাগোতে
জন্মগ্রহণের
পর
অল্প
বয়স
থেকেই
জাপান
কোরিয়াসহ
পূর্ব
এশিয়ায়
ইংলিশ
পত্রিকায়
সাংবাদিকতা
করছিলেন।
অর্থের
অভাবে
হোটেলে
ঘটিবাটি
পরিষ্কার
করেও
জীবিকা
নির্বাহ
করেছেন
অনেক
সময়।
১৯৪২
সালে
এডগার
স্নোর
‘রেড
স্টার
ওভার
চায়না’
পড়ার
পর
তাঁর
আগ্রহ
ও
চিন্তাভাবনার
অনেক
কিছুই
পাল্টে
যায়।
স্নো
এবং
তাঁর
এ
বই
সম্পর্কে
আমি
আগে
কিছু
আলোচনা
করেছি।
মার্ক্সবাদ
নিয়ে
লেখা
না
হলেও
এ
বই
হিনটনকে
মার্ক্সবাদ
ও
বিপ্লবী
লড়াইয়ে
আকৃষ্ট
করে।
১৯৪৫ সালে
হিনটন
‘ইউএস
অফিস
অব
ওয়ার
ইনফরমেশন’-এর
একজন
সদস্য
হিসেবে
চীন
সফর
করেন।
সে
সময়
কুওমিনটাং
ও
চীনা
কমিউনিস্ট
পার্টির
মধ্যকার
আপস
আলোচনাতেও
তিনি
উপস্থিত
ছিলেন।
সে
সময়ই
তাঁর
মাও
সে
তুং
ও
চৌ
এন
লাইয়ের
সঙ্গে
আলাপের
সুযোগ
হয়।
১৯৪৭
সালে
দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধোত্তর
বিভিন্ন
কর্মসূচির
অধীনে
জাতিসংঘ
থেকে
চীন
সরকারকে
কিছু
ট্রাক্টর
দেয়া
হয়।
এগুলোর
সঙ্গে
চীনে
আসেন
কয়েকজন
প্রশিক্ষক,
তাদেরই
একজন
ছিলেন
এ
উইলিয়াম
হিনটন।
এগুলো
দেয়া
হয়
কুওমিনটাং
এলাকায়।
হিনটন
মুক্তাঞ্চলেও
যান
এবং
দুই
অঞ্চলের
পার্থক্য
তাঁকে
আরো
প্রভাবিত
করে।
জাতিসংঘের কাজ
শেষ
হলেও
তিনি
থেকে
যান
মুক্তাঞ্চলে,
মুক্তাঞ্চলের
বিশ্ববিদ্যালয়ে
ইংলিশ
শিক্ষক
হিসেবে।
১৯৪৮
সালে
এ
বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে
বিভিন্ন
গ্রামে
ভূমি
সংস্কার
সহযোগী
দল
পাঠানো
হয়।
তিনি
এ
রকম
একটি
দলে
পর্যবেক্ষক
হিসেবে
যোগ
দেন
এবং
‘চাংজির
লংবো’
নামের
গ্রামে
ভূমি
সংস্কার
প্রক্রিয়ায়
সক্রিয়ভাবে
যুক্ত
থাকেন।
এ
গ্রামে
তিনি
অবস্থান
করেন
একটানা
আট
মাস,
রাত-দিন
ছোট-বড়
সভা-সমিতিতে
যোগ
দেন
এবং
নোট
রাখেন
বিস্তারিত।
গ্রামের
মানুষের
সঙ্গে
ঘনিষ্ঠ
সম্পর্ক
গড়ে
ওঠে
হিনটনের,
পরের
কয়েক
দশকেও
যার
ছেদ
পড়েনি।
১৯৫৩ সালে
কোরিয়া
যুদ্ধের
অবসানের
পর
হিনটন
দেশে
ফেরেন
তাঁর
বিপুল
পরিমাণ
দলিল
দস্তাবেজ
নোটসহ।
মার্কিন
বিমানবন্দরে
কাস্টমস
এগুলো
বাজেয়াপ্ত
করে
এবং
সব
তুলে
দেয়
কুখ্যাত
‘সিনেট
কমিটি
অন
ইন্টারনাল
সিকিউরিটি’র
হাতে।
তখন
দেশজুড়ে
এ
কমিটির
নেতৃত্বে
শ্বেতসন্ত্রাস
চলছিল।
হিনটন
এফবিআইসহ
নানা
সংস্থার
একটানা
হয়রানির
মধ্যে
থাকেন
বহু
বছর।
তাঁর
পাসপোর্ট
বাজেয়াপ্ত
করা
হয়,
সব
ধরনের
শিক্ষকতার
অধিকার
কেড়ে
নেয়া
হয়।
মায়ের
জমিতে
কৃষিকাজ
করেই
তিনি
এ
সময়ে
নিজের
জীবিকা
নির্বাহ
করতে
থাকেন।
কিন্তু
তার
পরও
এ
সময়ে
তিনি
অবিরাম
চীন
বিপ্লবের
পক্ষে
কথা
বলেন
এবং
আদালতের
লড়াই
চালিয়ে
যান।
১৫
বছর
পর
তিনি
আদালতের
রায়ে
সব
কাগজপত্র
ফেরত
পেয়েছিলেন।
এরপর
এগুলোর
ভিত্তিতে
তিনি
লংবো
নামের
সেই
গ্রামে
ভূমি
সংস্কারের
বিস্তারিত
বিবরণ
নিয়ে
লেখেন
ফানশেন
গ্রন্থ।
সব
বড়
প্রকাশক
এ
বই
প্রকাশে
অস্বীকৃতি
জানানোর
পর
মান্থলি
রিভিউ
প্রেস
এটি
প্রকাশ
করে।
প্রায়
৭০০
পৃষ্ঠার
এ
বই
বহু
হাজার
কপি
বিক্রি
হয়
এবং
প্রায়
সঙ্গে
সঙ্গেই
১০
ভাষায়
অনুবাদ
হয়।
এর
ভিত্তিতে
ডেভিড
হেয়ার
নামে
বিখ্যাত
নাট্যকার
নাটক
রচনা
করেন
এবং
প্রথম
তা
মঞ্চস্থ
হয়
লন্ডনে।
পরে
অন্য
প্রকাশকরাও
এর
আরো
সংস্করণ
প্রকাশ
করেন।
ফানশেন নাম
ও
তার
বিষয়বস্তু
সম্পর্কে
উইলিয়াম
হিনটন
বইয়ের
ভূমিকাতে
লেখেন:
‘প্রতিটি
বিপ্লবই
নতুন
নতুন
শব্দ
নির্মাণ
করে।
চীনা
বিপ্লব
সম্পূর্ণ
নতুন
এক
শব্দভাণ্ডারই
নির্মাণ
করেছে।
এ
শব্দভাণ্ডারে
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
শব্দ
হলো
ফানশেন।
এর
আক্ষরিক
অর্থ
‘শরীর
ঘোরানো’
বা
‘পাল্টে
দেয়া’।
চীনের
কোটি
কোটি
ভূমিহীন
ও
দরিদ্র
কৃষকের
কাছে
এর
অর্থ
উঠে
দাঁড়ানো,
জোতদার
জোয়াল
ছুড়ে
ফেলা,
জমি-ঘর-উপকরণ
যন্ত্রপাতি
পাওয়া।
এর
অর্থ
আসলে
এর
থেকেও
বেশি।
এর
অর্থ
কুসংস্কার
ছুড়ে
ফেলা,
বিজ্ঞান
অধ্যয়ন
করা,
নিরক্ষরতা
দূর
করা
এবং
পড়তে
শেখা।
এর
অর্থ
নারীকে
অস্থাবর
সম্পত্তি
হিসেবে
দেখা
বন্ধ
করা
এবং
নারী-পুরুষে
সমতা
আনা,
গ্রাম
প্রশাসন
আমলাদের
হাত
থেকে
মুক্ত
করে
নির্বাচিত
পরিষদের
হাতে
দেয়া।
এর
অর্থ
এক
নতুন
পৃথিবীতে
প্রবেশ
করা।
সেজন্যই
এ
বইয়ের
নাম
ফানশেন।
লং
বো
গ্রামের
মানুষেরা
কীভাবে
এক
নতুন
বিশ্ব
নির্মাণ
করেছেন
এটা
তারই
কাহিনী।’
পরিবর্তনের বিভিন্ন ধাপ
চীন
প্রথম
পঞ্চবার্ষিক
পরিকল্পনা
প্রণয়ন
করে
১৯৫৩
সালে।
১৯৪৯
থেকে
১৯৫২
সাল
ছিল
জাপানবিরোধী
যুদ্ধবিধ্বস্ত
দেশকে
পুনর্গঠন,
যুক্তরাষ্ট্রের
বিরুদ্ধে
কোরিয়া
যুদ্ধের
বোঝা
সামলানোর
সময়।
আর
তার
সঙ্গে
গ্রামে-শহরে
নতুন
প্রতিষ্ঠান,
উৎপাদন
সম্পর্ক
এবং
সংস্কৃতি
নির্মাণের
অবিরাম
কর্ম
উৎসব
ক্রমে
বিস্তৃত
হয়েছে
সারা
দেশে।
বিপ্লবী সরকার
গঠন
করার
সময়
চীনা
কমিউনিস্ট
পার্টির
সামনে
ছিল
সোভিয়েত
ইউনিয়নের
তিন
দশকের
অভিজ্ঞতা।
রুশ
বিপ্লবের
পর
সেখানে
সাম্রাজ্যবাদী
জোটবদ্ধ
হামলা
মোকাবেলা,
রাষ্ট্র
ও
অর্থনীতির
রূপান্তরের
কঠিন
অধ্যায়,
গ্রামাঞ্চলে
যৌথকরণে
জটিলতা,
শিল্পায়নের
সাফল্য
ও
ব্যর্থতা,
পার্টির
ভেতরের
দ্বন্দ্ব-সংঘাত
এবং
দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে
ধ্বংসের
মুখ
থেকে
বের
হয়ে
বিশ্বজয়ীর
অবস্থান
লাভ
সোভিয়েত
ইউনিয়নকে
তখন
যুক্তরাষ্ট্রের
বিপরীতে
প্রধান
রাজনৈতিক
ও
অর্থনৈতিক
শক্তি
হিসেবে
প্রতিষ্ঠা
করেছে।
সে
সময়
কমিউনিস্ট
আন্তর্জাতিক
কাঠামোর
মাধ্যমে
বিশ্বের
বিভিন্ন
প্রান্তে
বিপ্লবী,
জাতীয়
মুক্তি
এবং
গণতান্ত্রিক
লড়াইয়ে
সোভিয়েত
ইউনিয়নের
পথপ্রদর্শকের
ভূমিকা
ছিল।
সেই
হিসেবে
চীনের
বিপ্লবী
লড়াইয়েও
সোভিয়েত
প্রতিনিধিরা
বিভিন্নভাবে
ভূমিকা
পালন
করতে
চেষ্টা
করেছেন।
বিপ্লবের
আগে
ও
পরে
চীনে
সোভিয়েত
সমর্থন
ছিল
খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
তবে তাত্পর্যপূর্ণ
বিষয়
হচ্ছে,
পথ
ও
পদ্ধতি,
অগ্রাধিকার,
নীতি
ও
কৌশল
ইত্যাদি
ক্ষেত্রে
সোভিয়েত
প্রতিনিধিদের
সঙ্গে
চীনা
নেতাদের
অনেকবারই
মতবিরোধ
হয়েছে।
প্রয়োজনে
কোনো
কোনো
ক্ষেত্রে
চীনা
নেতারা
সোভিয়েত
দিকনির্দেশনা
অগ্রাহ্য
করেই
কাজ
করেছেন।
পরে
প্রমাণিত
হয়েছে,
সোভিয়েত
সব
পরামর্শ
শুনলে
চীনের
কমিউনিস্টরা
নিজেদের
হাতে
ক্ষমতা
আনতে
পারতেন
না,
হয়তো
তাদের
কুওমিনটাংয়ের
অধীনস্থ
থাকতে
হতো।
প্রকৃতপক্ষে
নিজেদের
পরিস্থিতি
নিজেরা
উপলব্ধি
করার
এবং
যথাযথ
লাইন
নির্ধারণের
ক্ষমতা,
আর
সেই
অনুযায়ী
নিজেদের
সিদ্ধান্ত
নিজেরা
নেয়ার
সাহস
ও
সাবালকত্বই
চীনের
বিপ্লবীদের
সফল
করেছিল।
এর
থেকে
এটাও
বুঝতে
সহজ
হয়
যে
কেন
এবং
কীভাবে
বাংলাদেশসহ
বিভিন্ন
দেশে
‘রুশপন্থী’
ও
‘চীনপন্থী’
রাজনীতি
বরাবর
নাবালক
থেকে
গেছে।
ঐতিহাসিক পটভূমি,
সমাজ
ও
শ্রেণীবিন্যাস,
শিল্পায়নের
মাত্রা,
ভৌগোলিক
অবস্থান,
সাম্রাজ্যবাদীদের
ভূমিকা,
সাংস্কৃতিক
গঠন
ও
লড়াইয়ের
ইতিহাস
ইত্যাদিতে
রাশিয়ার
স
েপার্থক্য
যেমন
চীনের
বিপ্লবের
ধরনে
ভিন্নতা
এনেছে;
তেমনি
বিপ্লব-উত্তর
সমাজতন্ত্র
গঠনেও
নতুন
চিন্তা
নতুন
প্রতিষ্ঠান
তৈরির
তাগিদ
তৈরি
করেছে।
সোভিয়েত
ইউনিয়নের
সাফল্য
ও
ব্যর্থতার
অভিজ্ঞতা
ছিল
চীনের
পথ
অনুসন্ধানে
বড়
অবলম্বন।
রুশ
বিপ্লবে
কৃষকদের
ভূমিকা
যতটা
ছিল,
চীনে
বিপ্লবের
প্রতিটি
পর্যায়ে
কৃষক
সমাজের
ভূমিকা
ছিল
তুলনায়
অনেক
বেশি।
এছাড়া
ক্ষমতা
গ্রহণের
আগেই
চীনা
বিপ্লবীরা
গ্রামাঞ্চলে
ভূমি
সংস্কারের
মধ্য
দিয়ে
নতুন
ভূমি
ব্যবস্থা
পত্তনের
যে
অভিজ্ঞতা
লাভ
করেছিলেন
তার
সুযোগ
রুশ
বিপ্লবীরা
পাননি।
সে
কারণে
রাশিয়ার
গ্রামাঞ্চলে
জমির
জাতীয়করণ
ও
যৌথকরণ
কর্মসূচি
অনেক
কঠিন
অভিজ্ঞতার
মধ্য
দিয়ে
গেছে।
এসব
কাজে
বিভিন্ন
ভ্রান্তির
পুনরাবৃত্তি
রোধ
করার
শিক্ষা
চীনাবিপ্লবীদের
সামনেই
ছিল।
বরাবরই চীন
বিশ্বের
সবচেয়ে
জনবহুল
দেশ।
বিপ্লবের
পর
অনুষ্ঠিত
প্রথম
জনশুমারি
অনুষ্ঠিত
হয়
১৯৫৩
সালে,
তখন
জনসংখ্যা
পাওয়া
যায়
৫৮
কোটি
৩০
লাখ।
বিপ্লবকালে
এ
সংখ্যা
৫০
কোটির
বেশি
ছিল
বলে
ধারণা
করা
যায়।
এত
বিশাল
জনসংখ্যার
দেশে
আবাদি
জমি
মোট
জমির
শতকরা
মাত্র
১৩
ভাগ।
জনসংখ্যার
তুলনায়
পানির
প্রাপ্যতাও
কম।
কোনো
কোনো
অঞ্চলে
এর
সংকট
ছিল
তীব্র।
তবে
প্রাচীনকাল
থেকেই
চীনের
বিভিন্ন
অঞ্চলে
সেচ
ও
পানি
নিষ্কাশনের
সংগঠিত
ব্যবস্থা
গড়ে
উঠেছিল।
এর
বিকাশের
মধ্য
দিয়ে
আবাদযোগ্য
জমির
প্রায়
পুরোটাই
আবাদের
অধীনে
এসেছিল
১৯৪৯
সালের
আগেই।
কিন্তু
তাতে
অনাহার,
দারিদ্র্য,
অমানবিক
দুর্দশা
থেকে
সংখ্যাগরিষ্ঠ
মানুষের
মুক্তি
মেলেনি।
বিপ্লবীদের
সামনে
সমস্যা
ছিল
তাই
প্রথমত,
বিশাল
জনসংখ্যার
খাদ্য
চাহিদা
মেটানোর
জন্য
প্রয়োজনীয়
পরিমাণ
খাদ্য
উৎপাদন;
এবং
দ্বিতীয়ত,
খাদ্য
ও
জমির
ওপর
জনগণের
অধিকার
নিশ্চিত
করা।
বিশ্বের শতকরা
৫
ভাগ
পানি
ও
শতকরা
৭
ভাগ
আবাদি
জমি
দিয়ে
শতকরা
২০
ভাগ
মানুষের
খাদ্য
নিরাপত্তা
কার্যকরভাবে
নিশ্চিত
করা
চীনের
জন্য
সবসময়ই
একটি
গুরুদায়িত্ব
হিসেবে
থেকেছে।
১৯৪৯
সালে
খাদ্যশস্য
উৎপাদন
ছিল
মোট
১০
কোটি
টন।
মাথাপিছু
প্রাপ্যতা
ছিল
২০০
কেজি।
এ
উৎপাদন
বৃদ্ধির
পাশাপাশি
ভূমিতে
জনগণের
অধিকার
প্রতিষ্ঠায়
চীনের
মানুষ
কয়েকটি
ধাপে
অগ্রসর
হলো।
কৃষক
জনগণকে
সঙ্গে
নিয়ে,
ব্যাপক
অংশগ্রহণের
ভিত্তিতে,
অংশগ্রহণমূলক
স্থায়ী
একটি
কাঠামোর
দিকে
অগ্রসর
হলো
চীনা
পার্টি
এবং
তার
সঙ্গে
যুক্ত
বহু
রকম
সংগঠন।
আগে
থেকে
কোনো
মডেল
ছিল
না।
শুধু
ছিল
জীবন,
ভূমিসহ
সব
সম্পদ
এবং
নীতিনির্ধারণী
প্রক্রিয়ায়
কতিপয়
শোষক
দুর্বৃত্ত
বাদে
সর্বজনের
মালিকানা
নিশ্চিত
করার
লক্ষ্য
ও
দৃঢ়চিত্ত
পদক্ষেপ।
এ ধারায়
গ্রামে
গ্রামে
ভূমি
সংস্কার
পরিণত
হয়
গরিব
নারী-পুরুষের
উৎসবে।
সব
পর্যায়েই
নিচে
থেকে
ভেতর
থেকে
সবার
অংশগ্রহণ
ও
সম্মতির
ভিত্তিতেই
জোতদার
সমরপ্রভুর
জমি
জাতীয়করণ,
জমি
বিতরণ
এবং
সমবায়ী
কাঠামো
নির্মাণের
কাজ
অগ্রসর
হয়।
কয়েক
বছরে
সারা
দেশে
কমিউন
প্রতিষ্ঠার
মধ্য
দিয়ে
এ
ধারা
একটি
নির্দিষ্ট
কাঠামোতে
পরিণতি
লাভ
করে।
এর
পর্যায়ক্রমিক
ধাপগুলো
ছিল:
পারস্পরিক
সহযোগী
দল,
প্রাথমিক
সমবায়,
উচ্চতর
সমবায়
ও
কমিউন।
[চলবে]
আনু মুহাম্মদ: অধ্যাপক,
অর্থনীতি
বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়