শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে বেশ কিছুদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের পরিমাণ কমছে। সেই সঙ্গে কমছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গতকাল সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাজার ১৯০ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে হাজার ৬৪৫ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে নারী ১৯ পুরুষ ১৬ জন। ঢাকা বিভাগেই মারা গেছে ১৯ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, রাজশাহীতে তিন, খুলনায় তিন, বরিশালে এক, সিলেটে দুই রংপুরে একজন মারা গেছে।

সময়ের মধ্যে সারা দেশে ১৯ হাজার ৬৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দশমিক শূন্য শতাংশ। পর্যন্ত দেশে মোট ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৩টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

গত বছরের মার্চ দেশে প্রথম কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০। আর কভিড থেকে সুস্থ হয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কম-বেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ভারতীয় বা ডেল্টা ধরনের দাপটে সংক্রমণ মৃত্যু বাড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। এর কারণে দুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। কমিয়ে আনা হয় টিকা গ্রহণের বয়সসীমা। গত মাসের শেষদিকেই দেশে করোনা সংক্রমণ এতে মৃত্যু কমতে শুরু করে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে খুলে দেয়া হয়েছে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন