ইউএনইএসসিএপির নির্বাহী সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতে অর্থমন্ত্রী

এলডিসিগুলোকে আন্তর্জাতিক সহায়তা দেয়া প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সঠিক পথে রয়েছে। তার পরও অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কভিড-১৯ সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা হ্রাস করার লক্ষ্যে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনকারী এলডিসিগুলোকে ট্রানজিশন (উত্তরণ) এবং ট্রানজিশন-পরবর্তী পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া প্রয়োজন। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) নির্বাহী সচিব আর্মিদা সালসিয়া আলিসজাহবানের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে গতকাল এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহনশীলতা প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও সব দেশের মতো কভিড-১৯ মহামারী আপাতত আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করেছে। তার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কভিড-১৯ ক্রান্তিকালে গৃহীত বিচক্ষণ আর্থিক এবং মুদ্রানীতির কারণে আমরা চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে পরিচালনা করতে পেরেছি। জীবন জীবিকার মধ্যে দূরদর্শী ভারসাম্য নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্বাভাবিকতা ফিরে আসছে। ২০২০ সালের আইএমএফের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে গড় দশমিক শতাংশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়, সেই সময়ে অতি অল্প কয়েকটি ইতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী, মহামারী প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

সাক্ষাতে আগামী ২০-২২ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি, পোভার্টি রিডাকশন অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (এমপিএফডি) সভায় বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রী নীতিগত পরামর্শমূলক সেবা, সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে নানাভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করায় ইউএনইএসসিএপির প্রতি কৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য ইউএনইএসসিএপির সহায়তা অব্যাহত রাখতে এবং আরো শক্তিশালী করতে আশা ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করে বলেন, ইউএনইএসসিএপি এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং ড্রাই পোর্টস উদ্যোগের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি থাইল্যান্ড, ভারত মিয়ানমারের ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে প্রকল্পে যোগদানের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ইউএনইএসসিএপিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন। এর মাধ্যমে ইউএনইএসসিএপির আঞ্চলিক আন্তঃআঞ্চলিক উদ্যোগগুলো আরো বেশি জোরালো হবে।

সাক্ষাত্কালে ইউএনইএসসিএপির নির্বাহী সচিব আর্মিদা সালসিয়া আলিসজাহবান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় ইউএনইএসসিএপি সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে আরো চাহিদাভিত্তিক সক্ষমতা নির্মাণ প্রকল্প সহায়তার মাধ্যমে ইউএনইএসসিএপির কর্মপরিধি আরো বাড়ানোর আশা ব্যক্ত করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন