প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সফলতার কথা বলবেন জাতিসংঘে —পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিবারের মতো এবারো প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে আব্দুল মোমেন। উপলক্ষে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী। সময় পররাষ্ট্র সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য বিভাগের সচিব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। একীভূত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য সম্পর্কে আলোকপাত করবেন তিনি।

জাতিসংঘে এবারের সফরে ৮০ সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি নিয়ে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা বাস্তবতায় এবারের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল খুব ছোট আকারে গঠন করা হয়েছে। শুরুতে ব্যক্তিগত কাজে ফিনল্যান্ড হয়ে সেখান থেকে নিউইয়র্কে যাবেন তিনি।

জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেয়া নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ (শুক্রবার) সকালে ব্যক্তিগত কাজে শুরুতে ফিনল্যান্ড যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখান থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন।

জাতিসংঘের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তি, নিরাপদ অভিবাসন, নভেল করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্যতাভিত্তিক বণ্টন, বৃহৎ পরিসরে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে পেটেন্টসহ মেধাস্বত্ব উন্মুক্তকরণ, ফিলিস্তিনি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়গুলো তার বক্তব্যে উঠে আসবে।

কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরবেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি নিরসনে সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান জানাবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন। করোনা মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া তিনি প্রতিবারের ন্যায় বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। সময় তিনি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোট্টেলে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মাইকেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন