কুড়িগ্রামে ভবন না থাকায় ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

নাগেশ্বরীতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি নদীভাঙনের শিকার স্কুলটিতে ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কন্যামতি আকবর হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গঙ্গাধর নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে তিন মাস আগে। ফলে সারা দেশের স্কুলগুলোতে প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলেও ওই স্কুলের ২৮৫ শিক্ষার্থী সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর অন্য একটি স্থানে টিনের ঘর তৈরি করে স্কুলটি স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু জায়গাটি পাঠদানের অনুপযোগী হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। কবে নাগাদ পাঠদান শুরু হবে জানেন না শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।

জানা যায়, বিদ্যালয়হীন এলাকায় সরকারের দেড় হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ১৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ব্যায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১১-১২ অর্থবছর আধা পাকা একটি ভবন নির্মাণ করে। সে ভবনটি গঙ্গাধর নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। পরে একটি নিচু জমিতে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর জন্য একটি টিনের ঘর তোলা হয়। কিন্তু জায়গাটি নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে আছে। স্কুল ঘরের ভেতরে কোনো চেয়ার-টেবিল নেই।

কন্যামতি আকবর হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়ের টিন দিয়ে একটি ছাপড়া ঘর তোলা হচ্ছে। সেখানেই পাঠদান শুরু করা হবে। মাঠে কাঁদা-পানি থাকলেও দু-তিনদিনের মধ্যে শুকিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসার জন্য মাইকিংও করা হচ্ছে।

নারায়ণপুর ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নওশাদ আলী জানান, বিদ্যালয়টি নদে চলে যাওয়ার পর একটি স্থানে ঘর তোলা হয়েছে। বন্যা বৃষ্টির পানিতে মাঠসহ ঘরের মেঝে ডুবে থাকায় ১২ সেপ্টেম্বর পাঠদান শুরু করা সম্ভব হয়নি।

নাগেশ্বরী উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান জানান, বিদ্যালয়টি সচল রাখতে পুরনো টিন দিয়ে একটি ছাপড়া ঘর তৈরি করতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

আগামী সপ্তাহের মধ্যে পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়টি পুরোপুরি প্রস্তুত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন