ভুলের ফাঁদে বাংলাদেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা?

আবু তাহের

প্রাপ্যতার সংকটে ভুগছে দেশের জ্বালানি খাত। স্থানীয় পর্যায়ের সরবরাহ অপর্যাপ্ত। বিদ্যুৎ শিল্প উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জ্বালানিপণ্যের ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভরতাই সবচেয়ে বেশি। পণ্যগুলোর আন্তর্জাতিক বাজারে অনিশ্চয়তাও অনেক। তার পরও খাতের পরিকল্পনাগুলো সাজানোর ক্ষেত্রে জ্বালানির সংস্থান খোঁজা হচ্ছে শুধু আমদানিকে কেন্দ্র করেই। জ্বালানিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারের যেকোনো অস্থিতিশীলতা এখন গোটা সরবরাহ ব্যবস্থাপনাকেই বিশৃঙ্খল করে তুলছে। অন্যদিকে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে পরিকল্পনাগুলোর সফল বাস্তবায়নের সম্ভাবনাও।

আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বাড়ায় পণ্যটির আমদানি কমেছে। ফলে জাতীয় গ্রিডে এখন গ্যাসের সরবরাহও হ্রাস পেয়েছে। এতে সংকটে পড়েছে বিদ্যুৎ খাত। উৎপাদন ঠিক রাখতে কখনো আবাসিক, আবার কখনো শিল্পে গ্যাসের সরবরাহ কমানো হচ্ছে। এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে পরিবহন খাতেও। বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে এরই মধ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

শুধু এলএনজির আন্তর্জাতিক বাজারে দর বৃদ্ধির প্রভাবেই দেশের গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থা এমন মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে উত্তোলিত গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে অনুসন্ধান কার্যক্রমের অগ্রগতিও যৎসামান্য। সমস্যা মোকাবেলায় জ্বালানি বিভাগ নানামুখী পরিকল্পনা নিলেও তা কাজে আসছে না। উল্টো নির্ভরতা বাড়ছে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানামুখী পরিকল্পনা করা হলেও শুরুতেই গ্যাসের উৎস সংস্থান নিশ্চিত না করায় এমন সংকট তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত জ্বালানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। জ্বালানি সংস্থানের ক্ষেত্রে আমদানিতেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে স্থানীয় উৎসগুলোও এখনো এক প্রকার অকেজো। জ্বালানি খাতে আমদানিনির্ভরতা প্রাধান্য পাওয়ায় দেশের গোটা শিল্প অবকাঠামোই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

দেশে ভূগর্ভস্থ গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতায় কমেছে এলএনজির সরবরাহ। অন্যদিকে প্রকট হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প-কারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আবাসিক গ্যাসের সংকট। এর জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন বছরের পর বছর নতুন অফশোর গ্যাসক্ষেত্রের অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ থাকা, আমদানিনির্ভরতা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির সুযোগ থাকলেও তাকে কাজে লাগাতে না পারাকে। তারা বলছেন, বিদ্যুৎ খাতে জ্বালানির মিশ্র ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি কাজে লাগানো যায়নি। সব ধরনের জ্বালানির ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও এখনো প্রায় ৫৫ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসনির্ভর।

বঙ্গোপসাগরের গভীর-অগভীর অংশে ব্লকগুলোয় দুই দশক ধরে কোনো ধরনের অনুসন্ধান কার্যক্রম নেই বললেই চলে। প্রসঙ্গত, গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বঙ্গোপসাগরের অফশোর অনশোরে (গভীর অগভীর) অংশকে মোট ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছিল। এর মধ্যে গভীর সমুদ্রে ১৫টি অগভীর সমুদ্রে ১১টি ব্লক।

এসব ব্লকে জ্বালানি তেল গ্যাসের অনুসন্ধান শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। অগভীর সমুদ্রের নম্বর ব্লকে সে সময় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে কেয়ার্নস এনার্জি। ১৯৯৮ সালে সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। দ্রুত মজুদ ফুরিয়ে এলে ২০১৩ সালে গ্যাসক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০৮ সালে গভীর সমুদ্রে ডিএস-১০ ডিএস-১১ নম্বর ব্লক ইজারা নেয় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি কনোকোফিলিপস। দুই বছর অনুসন্ধানের পর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মতপার্থক্যে তারাও চলে যায়। এরপর ২০১২ সালে আরেক দরপত্রের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লকে (ডিএস-১২, ডিএস-১৬ ডিএস-২১) অনুসন্ধানের জন্য যৌথভাবে দর প্রস্তাব জমা দিয়েছিল কনোকোফিলিপস স্টেট অয়েল। পরে কনোকোফিলিপস নিজেকে সরিয়ে নিলে ব্লকগুলো আর ইজারা দেয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে নিষ্পত্তি হয় ২০১২ সালে। এর দুই বছর পর ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গেও বিষয়টির নিষ্পত্তি টানা হয়। এর ভিত্তিতে প্রায় লাখ ৩৮ হাজার ২৮৯ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা বুঝে পেলেও এখনো সেখানে কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও প্রতিবেশী দেশ দুটি এখন বাংলাদেশের মতো নিশ্চুপ নেই। ২০১২ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পর পরই মিয়ানমার দ্রুত গ্যাস ব্লকগুলোয় অনুসন্ধান শুরু করে। ২০১৬ সালে থালিন- নামের ব্লকে গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটি। থালিন- বড় গ্যাসক্ষেত্র। প্রায় সাড়ে চার ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস রয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। সেখানে আরো মজুদ থাকার সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয় খাতসংশ্লিষ্টদের অনেকে। এছাড়া ৩৮টি অফশোর ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলন নিয়ে স্থানীয় বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও করেছে মিয়ানমার।

বসে নেই ভারতও। বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় অংশে কৃষ্ণ-গোদাবরী বেসিন এলাকায় প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ থাকতে পারে বলে ধারণা করছে দেশটি। স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি গুজরাট এস্টেট পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ছাড়াও বেসরকারি শিল্প গ্রুপ রিলায়েন্স বর্তমানে সেখানে গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলনে কাজ করছে। আগামী বছর রিলায়েন্স বেসিনের কেজি ডি- ব্লকে তিনটি গ্যাসকূপ খনন করবে। ২০২৩ সালের মধ্যে কৃষ্ণ-গোদাবরী বেসিন এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে ভারত।

সাগরে জ্বালানি তেল গ্যাস অনুসন্ধানে ২০১৬ সালে বিশেষ আইনের আওতায় উদ্যোগ নেয় জ্বালানি বিভাগ। দরপত্র প্রক্রিয়া ছাড়াই ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলোর (আইওসি) কাছ থেকে আগ্রহপত্র চায় পেট্রোবাংলা। সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জি, দক্ষিণ কোরিয়ার পোসকো দাইয়ু নরওয়ের স্টেট অয়েল নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দাইয়ু করপোরেশনের সঙ্গে উৎপাদন-অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) সই করে পেট্রোবাংলা। এরপর সাগরে জ্বালানি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কয়েক দফা দরপত্র আহ্বান করার কথা থাকলেও তা আর এগোয়নি।

বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া না গেলে বড় বড় কোম্পানি আগ্রহ দেখায় না। এক্ষেত্রে মাল্টিক্লায়েন্ট সিসমিক সার্ভে একটি স্বীকৃত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশের ভূতাত্ত্বিক গঠন খনিজ সম্পদের অবস্থান সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। জরিপের তথ্যই কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করে অনুসন্ধানে অংশ নিতে। মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে করতে না পারায় বিদেশী কোম্পানিগুলোকে অনুসন্ধান কার্যক্রমে টেনে আনতে পারেনি বাংলাদেশ।

বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরূল ইমাম বণিক বার্তাকে বলেন, দেশে গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম না বাড়িয়ে আমরা আমদানিনির্ভরতা বাড়িয়েছি। যে অর্থে আমরা এলএনজি আমদানি করছি, সে অর্থ দিয়ে আমরা দেশের অফশোর অনশোরে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাতে পারি। আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্র বিজয়ের পর আমরা বিশাল জলসীমা পেয়েছি। কিন্তু সেখানে কোনো বিদেশী কোম্পানিকে আনতে পারিনি। কারণ আমাদের কাজে কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই।

দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার বর্তমানে দুটি দেশ থেকে দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি আমদানি করছে। এর মধ্যেই কাতারের আরএসকে লাফান লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ১৫ বছর ওমানের জেস ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (ওকিউটি) সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়েছে সরকারের। পরে গ্যাসের চাহিদা বাড়লেও এখনো অন্য কারো সঙ্গে চুক্তি করেনি বাংলাদেশ।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির ক্ষেত্রে চাহিদা কমার কারণে বছরের কোনো সময়ে গ্যাসের সরবরাহ হ্রাস পেলেও নির্দিষ্ট একটি মূল্য নিয়মিতভাবেই পরিশোধ করতে হয়। বিষয়টি বিবেচনায় এলএনজি আমদানিকারক দেশগুলো প্রয়োজনের ভিত্তিতে কম-বেশি ২৫ শতাংশ এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে কিনে থাকে। বাংলাদেশেও জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি সংগ্রহ করছে।

শুরুতে প্রক্রিয়ায় গ্যাস কিনে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় স্পট মার্কেটের সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়ের পর থেকে পর্যন্ত স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে কয়েক গুণে। বছরের শুরুতে আগে যেখানে প্রতি এমএমবিটিইউতে ব্যয় হতো ডলার, সেখানে এখন তা ওঠানামা করছে ১২-১৫ ডলারে।

সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, জ্বালানি বিভাগের ভুল পরিকল্পনার কারণে এমনটি হয়েছে, বিষয়টি তা নয়। মূলত আমরা বাপেক্সকে কাজে লাগাতে পারিনি। বাপেক্স যে পারেসেখানে যে অভিজ্ঞ লোকবল ছিলসেটি আমরা উপলব্ধি করতে পারিনি। যে কারণে আমরা দেশে দীর্ঘদিন গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাতে পারিনি। যদি পারতাম তাহলে দেশে আরো গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হতো। গ্যাসের সংকটও এতটা প্রকট হতো না।

দেশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিশেষায়িত কোম্পানি বাপেক্সের অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাপেক্সের কাছ থেকে কাজ কেড়ে নিয়ে বিদেশী কোম্পানিকে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি সিলেটের জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হওয়ার পর বাপেক্সের কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করেছে জ্বালানি বিভাগ। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বণিক বার্তাকে বলেন, বাপেক্স গ্যাস অনুসন্ধানে দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এরই মধ্যে অন্তত ১০টি জেলায় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছরের শুরু থেকে কার্যক্রম আরো জোরালো হবে।

এক সময় দেশের শিল্প বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ভাবনায় আধিপত্য ছিল কয়লার। ওই সময় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেসরকারি খাতের একের পর এক বিনিয়োগ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ খাতের বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও জ্বালানি হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে কয়লা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী দূষণ নিয়ন্ত্রণের তাগিদে বিদ্যুৎ শিল্প উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার কমানোর জোর দাবি উঠছে। জ্বালানিটি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে অর্থায়নকারী সংস্থাগুলোও। চাহিদা কমলেও বিকল্প পণ্যগুলোর দর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় কয়লাকেও এখন আর ব্যয়ের দিক থেকে সাশ্রয়ী জ্বালানি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এরই মধ্যে বেশকিছু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাতিল হয়েছে। এর পরিবর্তে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রধান জ্বালানি হয়ে উঠেছে গ্যাস।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন