কুইক রেন্টাল

বিশেষ আইনের মেয়াদ আরো ৫ বছর বাড়াতে সংসদে বিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় বিশেষ আইনের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উঠেছে। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে এক দশক আগে আইনটি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ এরই মধ্যে কয়েক দফা বেড়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১ উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের সংকট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়। এজন্য ২০১০ সালে বিদ্যুৎ জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের মেয়াদ শুরুতে দুই বছর হলেও পরবর্তী সময়ে কয়েক দফায় তা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ তিন বছর আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা শেষ হবে চলতি বছর। এবার মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়াতে আইনটি সংশোধনে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। বিল আকারে এটি গতকাল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় দ্রুততম সময়ে তিন বছর, পাঁচ বছর ১৬ বছর মেয়াদি ভাড়াভিত্তিক রেন্টাল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়। ভাড়াভিত্তিক এসব কেন্দ্রকে বৈধতা দিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়াতে আইন করা হয়েছিল। আইনে দরপত্র ছাড়াই আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে আলোচনা করে চুক্তি সম্পাদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

তবে সরকারকে ভাড়াভিত্তিক এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে হয়েছে। এজন্য সরকারকে বিপুল অর্থ ভর্তুকিও দিতে হয়। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৪ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে সংসদীয় কমিটিকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার লক্ষ্যে খাতে দ্রুত অধিকসংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে অপেক্ষমাণ হিসেবে রাখা হবে। তবে মেয়াদ বাড়ার পর এসব কেন্দ্র থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ কেনা হবে, তা এখনো নির্দিষ্ট হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন