ঝিনাইদহ পৌরসভার পাবলিক পার্কে (শিশুপার্ক) বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ বেআইনি ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মসজিদ ব্যতীত নির্মিত সব অবকাঠামো আদালতের রায় পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে অপসারণের (ভেঙে ফেলার) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ গতকাল এ রায় দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়েরকৃত জনস্বার্থমূলক এক মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্ট। বেলার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী।
জানা যায়, সম্প্রতি ঝিনাইদহ পৌরসভা পার্কটির শ্রেণী পরিবর্তন করে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই মধ্যে পার্কে বিদ্যমান শিশুদের খেলার সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে গাছ। মাটি ভরাট করা হয়েছে। কাজ চলছে পাইলিংয়েরও। এলাকাবাসী পাবলিক পার্কটি রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন। তবে কোনো প্রতিকার না পেয়ে বেলা বরাবর আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন তারা। পরে বেলা এ বিষয়ে মামলা দায়ের করে।
মামলাটি দায়েরের পর ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ পাবলিক পার্কের মাঠে পৌরসভার বহুতল ভবন নির্মাণসংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ৬ নং বিবাদী হিসেবে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়রকে পাবলিক পার্কের মাঠের স্থানে নির্মাণকাজকে কেন অন্য বিবাদীদের ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে না, সে মর্মে রুল জারিসহ তাত্ক্ষণিকভাবে এ নির্মাণকাজ বন্ধ করে পাবলিক পার্কের শ্রেণী অপরিবর্তিত রেখে ‘পার্ক’ হিসেবে পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের আদেশ দেন।