রাজবাড়ীতে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় মনির খান নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। গতকাল দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দেন। এ মামলায় অন্য চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মনির খান শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার শুভগ্রাম এলাকার মৃত আমির হোসেন খানের ছেলে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন শিক্ষিকা জুলি, জুলির মা আনোয়ারা বেগম এবং প্রতিবেশী কল্পনা বেগম ও জবেদা বেগম।

আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় গোয়ালন্দ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের দারোগ আলীর মেয়ে জুলির কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় ভুক্তভোগী শিশু। প্রাইভেট পড়ে আর বাড়িতে ফিরে না এলে মেয়েটির মা জুলিদের বাড়ি যান খোঁজ নিতে। তখন জুলি জানান, ওই শিশুটি পড়া শেষ করে অনেক আগেই বাড়ি চলে গেছে। এরপর আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও আর পাওয়া যায়নি শিশুটিকে। এক বছর পর ২০১৭ সালের ১৩ মে মেয়েটি ফোন করে জানায়, তার প্রাইভেট শিক্ষিকা জুলি, জুলির মা আনোয়ারা বেগম এবং প্রতিবেশী কল্পনা বেগম ও জবেদা বেগম মিলে তাকে মনির খান মাইক্রোবাসে তুলে দেন। এরপর মনির খান প্রথমে ঢাকায় ও পরে শরিয়তপুরে মনির খানের বাড়িতে আটকে রাখে ও নির্যাতন করে। এ ঘটনায় ওইদিনই মেয়েটির মা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) উমা সেন বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন নিগার মামলার মূল আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। রায় প্রদানকালে আদালতে মূল আসামি উপস্থিত ছিলেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন