খবর

চলতি ২০২১ সালের জনশুমারি ও গৃহ গণনার কার্যক্রম ২৩ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে পরিচালনা করার পরিকল্পনা ছিল। করোনার কারণে নয়বার পিছিয়ে আগামী ২৫-৩১ অক্টোবর জনশুমারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এই এক সপ্তাহের মধ্যে সারা দেশের মানুষকে গণনার আওতায় আনার পরিকল্পনা আবারো পেছানো হচ্ছে। নানা কারণে সময় বৃদ্ধি ও টেন্ডার জটিলতার কারণে মাঠ পর্যায়ে শুমারি পিছিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল নগরীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘ওভারঅল আর্কিটেকচার অব ডিজিটাল সেন্সাস ২০২১’ বিষয়ক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, দেশের নানা পরিকল্পনা নির্ভর করে জনশুমারির ওপর। দেশের কোথায় কী পরিকল্পনা করতে হবে, খাদ্য চাহিদা কত, শিক্ষা ব্যবস্থায় কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে সবই নির্ভর করে জনশুমারির ওপর। এ শুমারি বাস্তবায়নে মিতব্যয়ী হতে হবে। যেখানে ১ পয়সা ব্যয় করতে হবে সেখানে সোয়া পয়সা নয়। আবার যেখানে ১ পয়সা লাগবে সেখানে আধা পয়সাও খরচ করা যাবে না। কাজ করতে গিয়ে সঠিকভাবে ব্যয় করতে হবে।

জনশুমারি পেছানো নিয়ে এমএ মান্নান বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ কার্যক্রম প্রকল্পের ধীরগতি চলছে। কভিডের কারণে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। জনশুমারির সময় আবারো পেছাবে। অক্টোবরে শুমারির কাজ হবে না। বিষয়টি আমি সরকারপ্রধানকে (প্রধানমন্ত্রী) অবহিত করব। তার দিকনির্দেশনা নেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, আশা করি শেষ পর্যন্ত আমরা সঠিক জনশুমারি করতে পারব। তবে আমরা মাঠ পর্যায়ে আর শুমারি করব না। মাঠ পর্যায় থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য আনা অনেক ঝামেলা। প্রকল্পে কেনাকাটা ও টেন্ডার করা আরো ঝামেলা। আমার বিশ্বাস, এমন একটা সময়ে যাব যখন আর টেন্ডার করা লাগবে না। আঙুলে ক্লিক করলেই জানতে পারব তথ্য। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আর জনশুমারি করতে হবে না। জনশুমারির জন্য ১০ বছর অপেক্ষাও করা লাগবে না। একসময় ঘড়ির কাঁটার মতো আমাদের সামনে টিক টিক করবে জনশুমারির তথ্যও। এক ক্লিকেই মাথার খবর আমাদের সামনে আসবে। আমাদের বিশ্বাস, একটা নিখুঁত না হলেও কাছাকাছি নিখুঁত শুমারি করতে পারব।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) প্রতিনিধি ড. আশা টরকেলসন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহাম্মদ।