বছর শেষে বক্স অফিসের আয় দাঁড়াবে ২০ বিলিয়ন ডলার

ফিচার ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর দাপট কমে আসছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে স্থবির হয়ে পড়া জনজীবন। সতর্কতা মেনেই আয়োজন হতে শুরু করেছে নানা প্রদর্শনী। শর্তসাপেক্ষে খুলছে সিনেমা হলও। ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্লাটফর্মে মোবাইলের ছোট স্ক্রিন থেকে সিনেমা ফিরতে শুরু করেছে বড় পর্দায়। এতে গতি ফিরে আসছে সিনেমা ব্যবসায়। বাড়ছে বক্স অফিসের আয়।

করোনা মহামারীর প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এ বছর বৈশ্বিক বক্স অফিসের আয় দাঁড়াতে পারে ২০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর প্রতিবন্ধকতায় এ আয়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ১২ বিলিয়ন ডলার। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গোয়ার স্ট্রিট অ্যানালিটিকসের বিশ্লেষণে বক্স অফিসের আয়ের হিসাবে গত বছরের অংক পেরিয়ে গেছে চলতি বছর আগস্টেই।

সুসংবাদ হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এবার আয় ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে দুঃসংবাদ হলো, এ আয় ২০১৯ সালের তুলনায় ৫২ শতাংশ কম। ওই বছর বক্স অফিসের আয় ছিল ৪২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। মহামারী-পূর্ববর্তী তিন বছরের গড় আয় থেকে যা অর্ধেকেরও কম। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের গড় আয় ছিল ৪১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।

বছরের দৈনিককার আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ এবং আলাদা আলাদা অঞ্চলে বক্স অফিসের পূর্ব অনুমানের ওপর ভিত্তি করে গোয়ার স্ট্রিট এ হিসাব দেখিয়েছে।

২০২১ সালে চীন ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা মিলে বক্স অফিসের আয় ৫ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। আর ১১ সেপ্টেম্বর চীনে রেকর্ড ছাড়িয়ে আয় দাঁড়ায় ৫ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। সে সময় উত্তর আমেরিকা থেকে বক্স অফিস আয় করে ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানটির অনুমান, আন্তর্জাতিক বাজারে বছর শেষে আয় গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৯ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে। এর মধ্যে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা থেকে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার; চীন বাদে এশিয়ার অন্য দেশগুলো থেকে ৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার এবং লাতিন আমেরিকা থেকে আসবে ৯০০ মিলিয়ন ডলার। প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, চীনে এ বছর ব্যবসা দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন এবং উত্তর আমেরিকায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে।

যদি এসব অনুমান ঠিক থাকে তাহলে দ্বিতীয় বছরের মতো বক্স অফিসের জন্য চীন হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার, যা ইউরোপীয় সব অঞ্চলের চেয়ে বড়। তবে চলমান করোনা মহামারী এবং রাজনৈতিক অবস্থা চীনের বক্স অফিস মার্কেটে হলিউডের ব্যবসা কঠিন করে তুলতে পারে।

গোয়ার স্ট্রিট বলছে, ২০২০ সালের শেষ চার মাসে সব মিলিয়ে আনুমানিক আয় ছিল ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। যেখানে বেশির ভাগ প্রদর্শনী বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ৭৫ শতাংশ সিনেমা হল সচল ছিল। বছর শেষে যা দাঁড়ায় মাত্র ৫৬ শতাংশে। কারণ করোনা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউয়ের ফলে বিভিন্ন দেশের সরকার সামাজিক দূরত্বসহ নানা বিধি-নিষেধ জারি করে। অনেক সিনেমা হল বাধ্যতামূলকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।

এক বছর পর চিত্র পাল্টে গেছে অনেকটাই। সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের ৮৮ শতাংশ সিনেমা হলের প্রদর্শনী কার্যক্রম সচল হয়েছে; যা মহামারী চলাকালে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই ওঠা সর্বোচ্চের সমান।   

 

সূত্র: ভ্যারাইটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন