ব্রেক্সিটের প্রভাবে ব্যয় বেড়েছে আমদানিকারকদের

বণিক বার্তা ডেস্ক

ব্রেক্সিটের যে প্রভাব ব্রিটিশ আমদানি বাণিজ্যে পড়েছে তার সবচেয়ে প্রথম শিকার বলা যেতে পারে মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের পারসি পিগ সুইটস ব্র্যান্ডকে। জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের  এ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি    আমদানি শুল্ক গুনতে হয়েছে ৬০ কোটি পাউন্ড। দিন দিন এ ব্যয় বাড়ছেই। চলতি বছরের প্রথমার্ধে   ব্রিটিশ আমদানিকারকদের রেকর্ড পরিমাণে ব্যয় বেড়েছে।

দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারসি পিগ সুইটসের পণ্য তালিকায় প্রায় দুই হাজার ধরনের খাবার রয়েছে। আর এসবের ওপরই আঘাত হেনেছে গত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ব্রেক্সিটের রুলস অব অরিজিন। যদিও পারসি পিগসের খাবারগুলো জার্মানিতে তৈরি হয়, তবু আয়ারল্যান্ডে রফতানির আগে    সেগুলো যুক্তরাজ্যে নেয়া হয়। সেখান থেকেই মূলত এগুলো আয়ারল্যান্ডে যায়। এখন    পারসি পিগসের এ যাত্রাই শুল্কের আওতায়   পড়ে যাচ্ছে। যে বিষয়টি নিয়ে জটিলতার     সৃষ্টি হয়েছে।

আমদানিকারকদের ওপর বহাল হওয়া জটিল কিছু নিয়মের কারণে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা বিনা মূল্যে ব্যবসার যে প্রচার চালানো হয়েছিল তা মিথ্যায় পরিণত হয়েছে। এর পর থেকেই হাজারো ব্যবসায়ীরা দেখতে পেলেন, তারা যদি চুক্তির আওতায় এমন সব পণ্য আমদানি করেন যেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে পর্যাপ্তভাবে উৎপাদন হয় না, তাহলে সেগুলোর জন্য তাদের শুল্ক দিতে হবে। বাণিজ্য সংস্থাগুলো বলছে, কিছু প্রতিষ্ঠান মনে করছে যে এ চুক্তির নিয়মগুলো ভীষণ জটিল হয়েছে। তারা বাণিজ্য সুবিধার জন্য কেবল শুল্ক বিভাগকে শুল্ক পরিশোধ করেই ব্যবসা চালিয়ে যেতে চান।

অ্যাকাউন্ট্যান্সি ফার্ম ইউএইচওয়াই হ্যাকার ইয়ংয়ের সিনিয়র ম্যানেজার মিশেল ডেল বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে যে পরিমাণ দালিলিক কাজ করতে হচ্ছে বা দলিল প্রস্তুত করতে হচ্ছে তার জন্য যুক্তরাজ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ সময় দেয়া হয়নি। ফলে ওইসব কাজের জন্য এখন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনিতেই মহামারীর কারণে অনেক ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার ওপর এখন কাগজপত্র-সংক্রান্ত ঝামেলা আর শুল্কের ঝামেলা শুরু হয়েছে। বিষয়টি বেশ সমস্যা সৃষ্টি করছে।

বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী, যেসব পণ্যের বেশির ভাগ ইইউতে প্রস্তুত হয় সেগুলো শুল্ক ছাড়াই আমদানি করা যাবে। পণ্যের ওপর নির্ভর করে কিছুটা পরিবর্তনও করা যাবে। কিন্তু পারসি পিগের সমস্যাটি আট মাস ধরে ঝুলে আছে। রুলস অব অরিজিন নিয়মের ফলে মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার কর্তৃপক্ষও বিপাকে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকরা বলছেন, ব্যবসার সুবিধার জন্য নিয়মনীতিতে কিছু শিথিলতা আনা উচিত। আমদানি প্রক্রিয়া যত সহজ করা যাবে ততই তা ব্রিটিশ ব্যবসা পরিবেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন