জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে বড় অংকের ঘুষ দিয়েছিল যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহত্ কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি)। বিবিসি প্যানোরোমার এক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে বিবিসি বলছে, ২০১৩ সালে মুগাবের জানু পিএফ পার্টিকে তিন থেকে পাঁচ লাখ ডলার ঘুষ দেয়ার আলোচনায় যুক্ত ছিল বিএটি। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির ক্ষতি করতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘুষ দেয়ার পাশাপাশি অবৈধ নজরদারিতেও যুক্ত ছিল কোম্পানিটি। তবে বিএটি দাবি করেছে, তারা করপোরেট আচরণের সর্বোচ্চ মানের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল।
৩৭ বছর জিম্বাবুয়ে শাসন করেছেন রবার্ট মুগাবে। ২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় তার। ক্ষমতাসীন জানু পিএফ পার্টি বর্তমানে নতুন নেতৃত্বে চলছে।
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ও ইউনিভার্সিটি অব বাথের সঙ্গে যৌথভাবে এ অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে বিবিসির হাতে এসেছে হাজার হাজার নথি। এসব নথিতে দেখা যাচ্ছে, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে প্রায় দুইশ গোপন তথ্যদানকারীদের নেটওয়ার্ককে অর্থ দিয়েছে বিএটি। এসব কাজের বেশিরভাগই ফরেনসিক সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসএস) নামে দক্ষিণ আফ্রিকার বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানির আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
এফএসএস প্রকাশ্যে মূলত কালো বাজারে সিগারেট বাণিজ্য ঠেকানোর কাজে যুক্ত। তবে এর পুরনো কর্মীরা জানিয়েছেন, বিএটির প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষতি করতে তারা আইন ভঙ্গ করেছিলেন।
নথিতে দেখা যায়, একটি অপারেশনে জিম্বাবুয়েতে বিএটির প্রতিদ্বন্দ্বীরা পরিচালনা করেন এমন তিনটি সিগারেট উত্পাদনকারী কারখানাকে বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেয়া হয় এফএসএসের স্টাফদের। ২০১২ সালে সাভানা টোব্যাকো কারখানায় সার্ভিলেন্স বা তল্লাশি চালাতে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেয় এফএসএস। কিন্তু ধরা পড়ে যায় ওই প্রতিষ্ঠান। বেআইনিভাবে নজরদারি চালানোর কারণে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের মধ্যে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়।