মিস ওয়ার্ল্ড থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেত্রী, গায়িকা, প্রযোজক ও হলিউড তারকা—প্রিয়াংকা চোপড়া জোনাসকে দুই দশকে বহু বর্ণে দেখা গেছে।
তাই এমনটা ভাবা একদমই অবাক করা হবে না যে তিনি ক্যারিয়ারকে বিবর্তন ও পুনর্বিবেচনার দৃষ্টিতেই দেখেন।
‘আমরা পাঁচ থেকে দশ বছর আগে যেমন ছিলাম, এখন আর তেমনটা নেই।
সবাইকে নিয়মিতভাবে পরিবর্তন হতে হয়ে।
কারণ এভাবে বিবর্তিত হতে না পারলে আপনি পিছিয়ে যাবেন।’ এভাবেই টাইম লিটফেস্টে কথা বলেছেন প্রিয়াংকা চোপড়া।
বিনিতা দাওরা নানজিয়ার সঙ্গে নিজের স্মৃতিকথা আনফিনিশড নিয়ে আলাপ করেছেন প্রিয়াংকা।
এ বই লেখার প্রক্রিয়াটি একই সঙ্গে আনন্দদায়ক ও ক্লান্তিকর বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘আমি সবসময়ই নিজের মতো করে থেকেছি।
কভিড মহামারীর সময়টা আমি ঘরেই ছিলাম, এটা আমাকে স্মৃতির গভীরে ডুব দিতে সহায়তা করেছে।’ প্রিয়াংকা আরো বলেন, তিনি তার গল্পটা কফি পানের আড্ডায় বন্ধুকে বলার মতো করে পাঠককে শোনাতে চেয়েছেন।
তাই তিনি প্রথমে তার কথা রেকর্ড করেছেন।
তারপর সেখান থেকে শ্রুতলিখন করিয়েছেন।
অর্থাৎ শুরুতেই কলম কিংবা কিবোর্ড হাতে নেননি।
বলিউড সুন্দরী প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমি একজন পাবলিক ফিগার। তাই আমাকে কেউ সত্যিকার অর্থে চেনেন না, জানেন না। তাই আমি নিজেই নিজের গভীরে যেতে চেয়েছি। আমার মনে হয়েছে আমাকে নিয়ে অনেক কথাই লেখা হয়েছে কিন্তু তাতে কতটা আমার কথা ঠিকঠাক এসেছে, তাই পাঠকদের আমার জীবনের সত্যাসত্য সম্পর্কে ধারণা দিতে চেয়েছি।’
আনফিনিশড বইতে প্রিয়াংকা দর্শক-পাঠকের দৃষ্টি কেড়েছেন।
এ স্মৃতিকথায় তিনি ভারতে বেড়ে ওঠা থেকে হলিউড তারকা হয়ে ওঠার যাত্রাপথ বর্ণনা করেছেন।
বইতে অনেক ঘটনার ক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট চরিত্রগুলোর নাম উল্লেখ করেননি।
এ নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে।
প্রিয়াংকা এ পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, বইটা তাকে নিয়ে, এটা অন্যদের গল্প নয়।
আবার অনেকে লিখেছেন, প্রিয়াংকা এত সত্য প্রকাশের মানুষ নন।
এর জবাবে তিনি বলেছেন, বইটার সবকিছুই সত্য।
অনেক পাঠক গুজবে ভরা রঙচঙা একটা বই চেয়েছিলেন হয়তো।
পশ্চিমা বিনোদন দুনিয়ায় প্রিয়াংকা আলোচনায় আসেন কোয়ান্টিকো নামের টিভি শোতে অ্যালেক্স পারিস চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।
চরিত্রটিতে কাজের সুযোগ পাওয়ায় তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন প্রিয়াংকা।
প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমি আমেরিকান টিভি ও চলচ্চিত্রগুলোয় ভারতীয় কোনো অভিনেত্রীকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করতে খুব একটা দেখিনি।
আমি খুব গর্বিত যে আমার জাতিগত পরিচয় নিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে
অভিনয় করতে পেরেছি।
এটা আমার জন্য একটা অর্জন।’
মার্কিন পপ গায়ক নিক জোনাসের সঙ্গে বিবাহিত জীবন নিয়ে প্রিয়াংকা বলেন, তারা দুজন একটি সৃষ্টিশীল বন্ধনকে ধারণ করেন এবং নিজেদের চিন্তাভাবনাগুলো একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করেন।
তার কথায়, ‘আমার বিবাহিত জীবন অনেক কিছু শিখিয়েছে।
একটা বিষয় বুঝেছি, আপনি যে কাজটা করেছেন তার স্বীকৃতি, বিশ্বাস সঙ্গীর কাছ থেকে পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
আমার ক্যারিয়ার তৈরিতে যে পরিশ্রম করতে হয়েছে, সেটার মূল্য বুঝতে যে একজন সঙ্গীর স্বীকৃতি প্রয়োজন, তার আগে কখনো বুঝিনি।’
প্রিয়াংকা চোপড়া অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে দিল ধাড়াকনে দো নিক জোনাসের সবচেয়ে প্রিয়।
ছবিটি নিক অনেকবার দেখেছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া