গত সপ্তাহে উত্থানের মাধ্যমে লেনদেন শেষ হয়েছে উভয় এক্সচেঞ্জের।
এতে দেশের পুঁজিবাজারের সবগুলো সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এদিকে বাজার মূলধনের সঙ্গে গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
একই সঙ্গে এক্সচেঞ্জে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ শেয়ারদর বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৩৭ হাজার ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ টাকা।
যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮৬৩ হাজার ১৮ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৫৭ টাকা।
অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২২ হাজার ৬০৩ কোটি ৩১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৯ টাকা বা ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
বাজার মূলধনের সঙ্গে গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেনও বেড়েছে।
গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮৮ কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৬ টাকা।
যেখানে তার আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮ হাজার ৯৩৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪৮ টাকা।
সে হিসেবে টাকার অংকে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫১ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৮ টাকা বা ৫৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও বেড়েছে।
গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৭ টাকা।
যা তার আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ছিল ২ হাজার ২৩৪ কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৭ টাকা।
সে হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৪৩ কোটি ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৩৫০ টাকা বা ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত।
১০ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
১০ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত।
আর ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে আর্থিক খাত।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৫৮ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৬ হাজার ৯৮১ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে।
নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫০ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪৭ দশমিক ১৪ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ২ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে।
ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৮৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯২ দশমিক ৩১ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৫০৮ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮২ কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১০টির, কমেছে ১৫৫টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির আর লেনদেন হয়নি ৪টির।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯১ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭ হাজার ৪২১ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।
অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২১ হাজার ৫৩০ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৬৮ কোটি ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৪ টাকার।
আগের সপ্তাহের চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৪১ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৮ টাকার।
সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১২৬ কোটি ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৯১৬ টাকা বা ৩৭ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮০৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৩১ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২০ হাজার ৩২৮ দশমিক ১৭ পয়েন্টে।
আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৭টির, কমেছে ১৪১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।
