শীর্ষ ৫ কোম্পানির একটি হতে চাই

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শফিক শামীম ২০১৭ সালের মার্চ থেকে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে যাচ্ছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। দেশের বীমা খাতের সার্বিক অবস্থা, নিজ কোম্পানির পারফরম্যান্স আইপিও নিয়ে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসান রাহাত

বীমা খাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাই।

গত পাঁচ বছরে দেশের বীমা খাতের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজ থেকে সাত বছর আগে আমরা যখন যাত্রা করি, সে সময়ের তুলনায় বর্তমানে বীমা খাতের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষ করে বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) বর্তমান নেতৃত্ব দায়িত্ব গ্রহণের পর তারা খাতের মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। একসময় আমাদের দেশে বীমা পেনিট্রেশনের হার দশমিক শতাংশের মধ্যে ছিল। সেটি বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর মধ্যে আবার সাধারণ বীমার তুলনায় জীবন বীমা খাতে পেনিট্রেশনের হার তুলনামূলক বেশি। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ একজন ব্যক্তি একটি জীবন বীমা করেন। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে জীবন বীমা খাতের প্রিমিয়াম আয় ১৫০ শতাংশ সাধারণ বীমা খাতের প্রিমিয়াম আয় ১০০ শতাংশের মতো বেড়েছে। পেনিট্রেশন না বাড়লে তো প্রিমিয়াম এমনি এমনি বাড়েনি। ব্যবসার পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে বীমা খাতে জবাবদিহিতাও বেড়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিভিন্ন আইন বিধি-বিধানের মাধ্যমে খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। কারণে কিন্তু এখন আগের তুলনায় বীমা দাবি পরিশোধ না করার অভিযোগ কমে এসেছে এবং দাবির অর্থ পরিশোধ করার হারও অনেক বেড়েছে। অবশ্য আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলে বলতে হয় বাংলাদেশের বীমা খাত ভারতসহ অঞ্চলের অনেক দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। তবে আমরা আশান্বিত যে দেশের বীমা খাত ধারাবাহিকভাবে উন্নতির দিকে যাবে।

বীমা খাতে বৈচিত্র্যময় পণ্যের অভাব রয়েছে। নতুন নতুন পলিসির মাধ্যমে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে না পারার কারণ কী?

আমাদের দেশে বীমা খাতে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল আস্থার সংকট। ছিল বলব অর্থে যে এখন আস্থার সংকট অনেকাংশে দূর করা সম্ভব হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে হলে আস্থা অর্জন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সর্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা, কৃষি বীমার মতো সেবাগুলো মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করতে হলে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। ২০১৯ সালের মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স সামিটে বিষয়গুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে কিন্তু কিছু কোম্পানি পাইলট ভিত্তিতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা কৃষি বীমা করছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছ থেকে যে ধরনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে সেটি আশাব্যঞ্জক। কৃষি বীমার মধ্যে আরেকটি দিক রয়েছে সেটি হচ্ছে গৃহপালিত পশুর জন্য বীমা। কেউ কেউ ধরনের বীমা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এগুলো যদি জনপ্রিয়তা পায়, তাহলে  দু-তিন বছরের মধ্যে দেশের বীমা খাতের চেহারা বদলে যাবে।

জীবন বীমার সঙ্গে তুলনা করলে দেশের সাধারণ বীমা খাতের ব্যবসা সেভাবে বাড়ছে না কেন?

সাধারণ বীমা খাতের প্রবৃদ্ধি দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে। যত বেশি কারখানা হবে, তত বেশি অগ্নি বীমা হবে। এভিয়েশন খাতের আকার বাড়লে বীমাও বাড়বে। সাধারণী বীমা খাত যে বাড়ছে না তা নয়। তবে জীবন বীমা খাতের বিষয়টি ভিন্ন। ব্যক্তিনির্ভর হওয়ার কারণে জীবন বীমার পলিসি সংখ্যা বেশি হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ার কারণেও কিন্তু জীবন বীমার পরিমাণ বাড়ছে। তাছাড়া জীবন বীমার ক্ষেত্রে চাইলেই যেকোনো নতুন পণ্য সহজে চালু করা সম্ভব। কিন্তু সাধারণ বীমার ক্ষেত্রে চাইলেই নতুন পণ্য চালু করা যায় না। সেটি গ্রাহকদের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারবে কিনা বা লাভজনক হবে কিনা ধরনের অনেক কিছু চিন্তাভাবনা করে এখানে নতুন পণ্য চালু করতে হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই জীবন বীমার তুলনায় সাধারণ বীমার ব্যবসা বাড়ার গতি কিছুটা ধীর হবে। তবে জীবন বীমার পরিমাণ বাড়লে পরোক্ষভাবে সেটি কিন্তু সাধারণ বীমার ব্যবসা বাড়াতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বর্তমানে সাধারণ বীমা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো কোন ধরনের পলিসি করছে?

অগ্নি, মোটর মেরিন তিন ধরনের পলিসির মধ্যেই সাধারণ বীমা খাত ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা তুলনামূলক নতুন কোম্পানি হলেও প্রচলিত তিন খাতের বাইরে এভিয়েশন বীমা চালু করেছি। সাধারণ বীমা করপোরেশনের পরই আমরা সবচেয়ে বেশি এভিয়েশন বীমা করছি। বেসরকারি খাতের মাত্র তিনটি কোম্পানিতে বীমা চালু আছে। ওভারসিজ মেডিক্লেইম বা বিদেশে যেটা ট্রাভেল বীমা হিসেবে পরিচিত সেটিও আমাদের রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২০টির মতো কোম্পানির বীমার লাইসেন্স রয়েছে। দিন দিন মানুষের মধ্যে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে বীমার ব্যবসা কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়ছে।

ভবিষ্যতে নতুন কী ধরনের বীমা চালু করার সুযোগ রয়েছে?

প্রডাক্ট লায়াবিলিটি নিয়েও বীমা হতে পারে। আমাদের এখানে এটি নেই। আপনি যদি কোনো ইলেকট্রনিকস পণ্য কেনেন সেক্ষেত্রে হয়তো প্রথম এক বছর বিক্রয়োত্তর সেবা, ওয়ারেন্টি কিংবা গ্যারান্টি পাবেন। কিন্তু দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বছরের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই সেই সুবিধা থাকে না। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় তৃতীয় বছরের জন্য বীমা করা যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। সাধারণ বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য বীমা চালু করা হয়েছে। বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। আমরাও এটি নিয়ে কাজ করছি। আমাদের এখানে যেসব ভবন তৈরি হয়, সেগুলোর অধিকাংশই বীমার আওতার বাইরে রয়েছে। এক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বীমার বিষয়টি প্রচলন করা যেতে পারে। শস্য বীমার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। পশুপালন বীমা তো আমাদের এখানে এখনো শুরুই হলো না। নতুন নতুন বীমা চালু করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সূচক না থাকার বিষয়টি আমাদের ভোগাচ্ছে। এছাড়া প্রিমিয়ামের অর্থ পরিশোধ না করার একটি প্রবণতা আমাদের এখানে দেখা যায়। এটিও বীমার প্রসারের ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা। গত পাঁচ-ছয় বছরে আইডিআরএ বীমা খাতের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। রেল নৌপথে যাতায়াতকারীদের বীমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংস্থাটি কাজ করছে।

বীমা কোম্পানির এজেন্ট কমিশন শূন্যে নামিয়ে আনার কেমন প্রভাব পড়েছে?

প্রথমে যখন এজেন্ট কমিশন ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হলো, তখন কিন্তু সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। বিশেষ করে যেসব কোম্পানি নিয়ন-কানুন মেনে চলত, তাদের সবার আয় সে সময় বেড়ে গিয়েছিল। আমাদের কথাই ধরুন না, ২০১৯ সালে তার আগের বছরের তুলনায় আমাদের আয় বেশ বেড়েছিল। এবার যখন এজেন্ট কমিশন শূন্যে নামিয়ে আনা হলো, তখন স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিগুলোর আয় বাড়ার কথা। কারণ আগে কমিশন বাবদ অর্থ কোম্পানির আয় থেকে বের হয়ে যেত। কিন্তু এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। তবে এর পুরোপুরি সুফল পেতে হলে কঠোরভাবে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। এখনো কেউ কেউ কমিশন দিচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এতে স্বাভাবিকভাবেই গ্রাহকরা আমাদের পরিবর্তে তাদের কাছে যাবেন। এক্ষেত্রে কমিশনের বিষয়টি সবাইকে পরিপালনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

কভিডের কারণে বীমা খাতের ব্যবসায় কী প্রভাব পড়েছে?

আমরা যতটা ধারণা করেছিলাম গত বছর কভিডের প্রভাব সেভাবে বীমা খাতের ওপর পড়েনি। লকডাউনের সময় ব্যবসা প্রায় বন্ধ থাকলেও যখন এটি প্রত্যাহার করা হয়, তখন কিন্তু ব্যবসা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে যেসব কোম্পানির আমদানি-রফতানি ব্যবসার সঙ্গে বেশি সংশ্লিষ্টতা ছিল, তাদের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। গত বছর কভিডের প্রভাব সেভাবে টের না পেলেও এবার কিন্তু আমরা এটি অনুভব করছি। বছরের মার্চ থেকে জুন সময়ে আমাদের ব্যবসা নিম্নমুখী ছিল। জুলাইতে ব্যবসা কিছুটা বাড়লেও সেটি গত বছরের চেয়ে কম। সব মিলিয়ে বছরের প্রথম আট মাসে গত বছরের তুলনায় আমাদের ব্যবসা কমে গেছে। আশা করছি বছরের বাকি সময়টায় ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াবে। কভিডের কারণে পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও আমরা বেশকিছু নতুন পণ্য প্রচলন করতে পারিনি। আমরা পশুপালনের ওপর একটা ইনডেক্স তৈরি করতে পেরেছি। আশা করছি সামনের বছরের কোরবানির সময় আমরা এটি চালু করতে পারব।

সম্প্রতি আপনারা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছেন।

গত বছর অর্থমন্ত্রী আইডিআরএর পক্ষ থেকে ২৭টি বীমা কোম্পানিকে আইপিওতে আসার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছি। বছরের অক্টোবরে আমাদের আইপিওর সাবস্ক্রিপশন শুরু হতে যাচ্ছে। পুঁজিবাজার থেকে আমরা ১৬ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করব। কভিডের মধ্যেও আমরা সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে টাকা ৯৭ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের কোনো ধরনের প্লেসমেন্ট শেয়ার নেই। ফলে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতার কোনো ঘাটতি থাকছে না। সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের কিছু ব্যতিক্রমী দিক রয়েছে, যা অন্য কোনো কোম্পানির নেই। আমাদের পর্ষদে যারা রয়েছেন, তারা সবাই সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে তারা পর্ষদে রয়েছেন। ফলে এখানে ব্যক্তিগত স্বার্থের কোনো বিষয় নেই। আমরা যে মুনাফা করি, সেটি কিন্তু মানবকল্যাণে ব্যয় করা হয়ে থাকে। সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে সংস্থা কাজ করে থাকে। কভিড-১৯ অতিমারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। তালিকাভুক্তির পর পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রতিও আমাদের দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। বছর বছর মুনাফার অংশ থেকে তাদের লভ্যাংশ দিতে হবে, এটিও আমাদের জানা। আমরা সেভাবেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করব, যাতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারেন।

আইপিওর অর্থ আপনারা কোন খাতে ব্যয় করবেন?

সংগৃহীতব্য ১৬ কোটি টাকার মধ্যে একটি অংশ প্রধান কার্যালয়ের জন্য অফিস স্পেস কেনায় ব্যয় হবে। এছাড়া সরকারি সিকিউরিটি ক্রয়, স্থায়ী আমানত আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ খাতে বাকি অর্থ ব্যয় করা হবে।

সামনের দিনগুলোতে আপনাদের ভিশন কী?

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা হলেও আমরা ব্যবসা শুরু করেছি ২০১৪ সালে। প্রথম বছরে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের লোকসান দিতে হয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকেই কিন্তু আমরা মুনাফা করছি। প্রতি বছরই আমাদের আয় মুনাফায় ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গ্রাহকের আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা কোনো ছাড় দিই না। বীমা দাবির অর্থ আমরা যথাসময়ে গ্রাহকদের পরিশোধ করে থাকি। এতে গ্রাহকরা আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন। নিত্যনতুন সেবার মাধ্যমে আমরা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে চাই। স্মার্টফোনের অ্যাপের মাধ্যমে আমরা মানুষকে বীমা সেবা দিতে চাই। এজন্য আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলছে। আমাদের ভিশন হচ্ছে, আমরা পাঁচ বছরের মধ্যে সাধারণ বীমা খাতের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির একটি হতে চাই।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে আপনার বার্তা...

আমাদের কোম্পানির মালিক যেহেতু সশস্ত্র বাহিনী, সেহেতু আমরা সব ধরনের আইন-কানুন বিধি-বিধান মেনে চলি। তাই আমি আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের কোম্পানির শেয়ার যারা কিনবেন, তারা বিনিয়োগ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন