পাবলিক ইস্যু রুলসের গেজেট প্রকাশ

আইপিওতে মিউচুয়াল ফান্ড ও ইআইদের কোটা হ্রাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাবলিক ইস্যু রুলসে মিউচুয়াল ফান্ড যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) কোটা হ্রাস করা হয়েছে সেক্ষেত্রে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে মিউচুয়াল ফান্ডের কোটা ১০ থেকে কমিয়ে শতাংশ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইআইদের কোটা ৩০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে সেই সঙ্গে আইপিওতে অন্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা হয়েছে গতকাল ২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যুর রুলসের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে

গেজেটে আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ার বণ্টনের ক্ষেত্রে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) জন্য ২০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড শতাংশ, অনিবাসী বাংলাদেশী শতাংশ এবং ব্যক্তি শ্রেণীর অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ  করা হয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য যে শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়েছে এর মধ্যে শতাংশ থাকবে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) জন্য এবং বাকি শতাংশ থাকবে মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য সমন্বিতভাবে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত আন্ডার সাবস্ক্রিপশনের ক্ষেত্রে অবলেখককে সেটি কিনে নিতে হবে আর যদি ৩৫ শতাংশের বেশি আন্ডার সাবস্ক্রিপশন হয় সেক্ষেত্রে আইপিও বাতিল হয়ে যাবে

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইআইদের জন্য ২৫ শতাংশ, অনিবাসী বাংলাদেশী শতাংশ এবং অন্যান্য ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীর জন্য ৭০ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ করা হয়েছে ইআইদের জন্য নির্ধারিত ২৫ শতাংশের মধ্যে শতাংশ বরাদ্দ থাকবে মিউচুয়াল ফান্ড, কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম (সিআইএস) ইটিএফের জন্য এবং বাকি ২৪ শতাংশ থাকবে ইআইদের জন্য

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন কমিশনের কাছে জমা দেয়ার আগে কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের বিষয়ে বিএসইসির কাছ থেকে ভূতাপেক্ষ অনুমোদন নিতে হবে আইপিও আবেদন জমা দেয়ার দুই বছরের মধ্যে বোনাস শেয়ার ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ালে আইপিওর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না অবশ্য যৌক্তিক কারণে বিভিন্ন ধরনের সহযোগী বিনিয়োগের মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করা হলে কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে সেটি বিবেচনা করা হবে

ফিক্সড প্রাইস বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর আকারের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোম্পানির আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে সেক্ষেত্রে কোম্পানি যে পরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করতে চায় সেটিসহ পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ অর্থ উত্তোলন করতে হবে একইভাবে আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে হলে এর পরিমাণ হবে ২০ শতাংশ আর আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকার ওপরে হলে এর পরিমাণ হবে ১০ শতাংশ

ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর ক্ষেত্রে কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে চায় এর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অভিহিত মূল্যে প্রাইভেট অফারের মাধ্যমে কোম্পানির কর্মী কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগ্রহের সুযোগ রাখা হয়েছে আর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ফেয়ার ভ্যালুর ভিত্তিতে প্রাইভেট অফারের মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করতে পারবে এক্ষেত্রে প্রাইভেট অফারের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ আইপিওর অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে

আগের রুলে শুধু বিকল্প বিনিয়োগ তহবিলের ক্ষেত্রে বছরের লক-ইন থাকলেও নতুন রুলে বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল কিংবা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা শেয়ারের ওপর বছরের লক-ইন আরোপ করা হয়েছে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন