টানা তিন কার্যদিবস নিম্নমুখিতা পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস বুধ বৃহস্পতিবার নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারেও সূচক ছিল নিম্নমুখী। সব মিলিয়ে তিন কার্যদিবস ধরেই নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে পুঁজিবাজারে। ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারি কোম্পানির বিনিয়োগ কার্যক্রম তদন্ত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের কারণে বাজারে কিছুটা রক্ষণাত্মক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত তিন কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬০ পয়েন্টের বেশি। এর মধ্যে গত সপ্তাহের বুধবার পয়েন্ট বৃহস্পতিবার ২৭ পয়েন্ট হারিয়েছে সূচকটি। আর চলতি সপ্তাহের রোববার ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় ২৮ পয়েন্ট। এদিন লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। অবশ্য কিছু সময় পর থেকে সূচকের বড় নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এতে দিন শেষে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়। রোববার দিন শেষে ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে হাজার ৮২৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, যা আগের কার্যদিবসে ছিল হাজার ৮৫১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। রোববার সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আইডিএলসি লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারের।

এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত রোববার দিন শেষে দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে হাজার ৪৮৪ দশমিক ২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল হাজার ৪৮৭ দশমিক ২০ পয়েন্ট। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে এদিন হাজার ৪৪৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৪৫৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে। গত রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে হাজার ৮৪৬ কোটি ৮৯ লাখ হাজার টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল হাজার ২২৭ কোটি ৬৪ লাখ হাজার টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ২১৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৯টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, রোববার ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ দখলে নিয়েছে সাধারণ বীমা খাত। ১০ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। দশমিক ৬৩ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল আর্থিক খাত। আর দশমিক ৪৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার সিএসসিএক্স সূচক দিনের ব্যবধানে ৫০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৮৯৯ দশমিক ১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৯৪৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩১৭টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ১৮৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩০টির বাজারদর। রোববার সিএসইতে মোট ৮২ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬৬ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৮৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৩ টাকার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন