আইএফআইসি ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, ব্যাংকটি নন-কনভার্টেবল, কুপন বেয়ারিং সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করবে। ব্যাংকটি টিয়ার-, ব্যাসেল- অধীনে ব্যাংকের মূলধন পূরণে বন্ড ইস্যু করা হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করবে আইএফআইসি।

সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২১ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের ছয় মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯১ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময় ছিল ৫১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২১ পয়সা।

এর আগে নেপাল বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা বিনিয়োগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (আইএফআইসি) পর্ষদ। নেপালের ব্যাংকটিতে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের সব শেয়ার বিক্রি করে সেই অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে। প্রত্যাশিত দরে উপযুক্ত ক্রেতা খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ নেপালের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানায় আইএফআইসি ব্যাংক। ১৯৯৪ সালে উদ্যোক্তা হিসেবে নেপাল বাংলাদেশ ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছিল আইএফআইসি ব্যাংক। নেপালের স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে গঠন করা ব্যাংকটি ১৯৯৫ সালে নেপাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে নেপালের ব্যাংকটিতে আইএফআইসি ব্যাংকের ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। নেপাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংকের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে আর এম নাজমুস সাকিব দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ব্যাংকটির পর্ষদে আইএফআইসির মনোনীত পরিচালক হিসেবে রয়েছেন এম শাহ আলম সারোয়ার কামরুন নাহার আহমেদ।

নেপাল স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যানুসারে, নেপাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা কোটি ৪৮ হাজার ২১২। এর ৪১ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা, ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ ব্যক্তি শ্রেণীর উদ্যোক্তা, শতাংশ সাধারণ প্রতিষ্ঠান এবং ৩৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার ব্যক্তি শ্রেণীর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা ৪১ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশই রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের কাছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন