ওয়ালটনের লভ্যাংশ ঘোষণা

উদ্যোক্তা-পরিচালকরা পাবেন ১৭০% অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০%

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদক ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। সে হিসাবে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা প্রায় ৫১০ কোটি টাকা এবং অন্য বিনিয়োগকারীরা কোটি টাকার লভ্যাংশ পাবেন।

গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ টাকা ২১ পয়সা। যেখানে এর আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ২৪ টাকা ২১ পয়সা। বছরের ৩০ জুন শেষে পুনর্মূল্যায়নসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১১ টাকা ৫৯ পয়সা, যা গত বছরের ৩০ জুন শেষে ছিল ২৬৪ টাকা ৪৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে সেপ্টেম্বর। গতকালের পর্ষদ সভায় কোম্পানিটির নাম ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পরিবর্তন করে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক শূন্য শতাংশ শেয়ারই রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৩৭, বিদেশী দশমিক ১০ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ওয়ালটন ২০২০-২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য প্রতি শেয়ারে ১৭ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতি শেয়ারে ২৫ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সে হিসাবে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা তাদের ধারণকৃত শেয়ারের বিপরীতে ৫০৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন। আর অন্য বিনিয়োগকারীরা তাদের ধারণকৃত শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ পাবেন কোটি ৩৪ লাখ টাকার।

এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে ১০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি সাধারণ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের নিজেদের বিডিংকৃত মূল্যে ইস্যু করা হয়। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি শেয়ার প্রান্তসীমা মূল্যের ২০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৫২ টাকায় ইস্যু করা হয়েছে।

আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিএমআরই, ৩৩ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ পরিশোধ সাড়ে কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে খরচ করবে ওয়ালটন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ হাজার ৪৭৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩৭৮ টাকা থেকে হাজার ৫২৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন