অপ্রদর্শিত অর্থ ও প্রবাসী আয় পুঁজিবাজারে গেছে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রণোদনা ঋণের অর্থ পুঁজিবাজারে গেছে কিনা, তা যাচাই করে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরের বৈঠকে জবাব দেবেন বলে গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। গতকাল সে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সময় জবাবের বিষয়টি সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন। তখন তিনি বলেন, প্রণোদনার টাকা পুঁজিবাজারে গেছে কিনা, তা আমি জানতে পারিনি। আমি তো - বলেছিলাম, আপনারা ব্যাপারে কিছু জেনে থাকলে আমাকে জানাবেন। তবে অপ্রদর্শিত অর্থ এবং প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) একটি অংশ পুঁজিবাজারে গেছে বলে সময় তিনি নিশ্চিত করেন।

রেমিট্যান্স কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঈদসহ নানা কারণে রেমিট্যান্স কমেছে। অবস্থা থাকবে না। আগামীতে আরো ভালো হবে। অন্যদিকে গত মাসে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি হয়েছে। লকডাউনসহ বিভিন্ন কারণে রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সরকার এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে। এখন করোনাই একমাত্র বিষয়। টিকা দিতে হবে। সরকার পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারলে যে সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে তা আর থাকবে না।

রেমিট্যান্সে প্রণোদনার হার বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই জানিয়ে তিনি বলেন, যে শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট। এছাড়া করোনার কারণে ক্ষতি হয়েছে এমন অন্যান্য খাতে প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যে খাতে যেমন প্রভাব সে অনুযায়ী দেয়া যায় কিনা তা ভাবা হচ্ছে। তবে কোন কোন খাত প্রণোদনা পেতে পারে, সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কিছু জানাননি।

এদিকে বাড়তি চাহিদার জোগান নিশ্চিত করতে ৩০টি অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। গতকাল এসব প্লান্ট স্থাপন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখনকার প্রয়োজন বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এসব অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হবে। কভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় এসব প্লান্ট স্থাপনে অর্থায়ন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)

একই সময়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদনসহ মোট ১০ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এসব কেনাকাটায় মোট হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হবে ৯১১ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাংক দেশীয় ব্যাংক থেকে ৪৩২ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হবে।

প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য মজুদ নিশ্চিত করতে চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬০ উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্পের কেনাকাটা, মিরপুরে সরকারি কর্মীদের একাধিক আবাসিক ভবন নির্মাণের কেনাকাটার অনুমোদনও  দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন