দেশে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখনো ঊর্ধ্বমূখী। টানা ১০ দিন ধরে দৈনিক ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৩৫ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫ হাজার ৭৭৬ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দৈনিক মৃত্যু ২০০ অতিক্রম করে। এরপর মৃতের সংখ্যা কয়েকদিন কম থাকলেও গত ১০ দিন টানা দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গত ২৮ জুলাই করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সেদিনই দেশে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যু হয়। এর মধ্যে গত ২ আগস্ট তা ২১ হাজার ছাড়ায়। আর ২৭ জুলাই সর্বোচ্চ ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ মারা যাওয়া রোগীদের নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ২১ হাজার ৩৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৬ হাজার ২৯৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪৫।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৬৯৭টি পরীক্ষাগারে ৫৫ হাজার ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত একদিনে মারা যাওয়া ২৩৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ৭৩ জন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫ জন, খুলনায় ৩২, রাজশাহীতে ২১, রংপুরে ১২, ময়মনসিংহে ১২, সিলেটে ১২ ও বরিশাল বিভাগে আটজন।
করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে গত তিন মাসে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে। শুধু জুলাইয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৮২ জনের। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এ মহামারীতে এর আগে কোনো মাসে এত মৃত্যু হয়নি।
গতকাল একদিনে ঢাকা বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৩৫ জন, ময়মনসিংহে ৬৩৮, চট্টগ্রামে ৩ হাজার ৭৩৪, রাজশাহীতে ৭৭১, রংপুরে ৫০২, খুলনায় ৯৪৬, বরিশালে ৭৪০ ও সিলেট বিভাগে ৭১০ জন।
