ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত নভেল করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) এ অনুমোদন দিয়েছে। বিএমআরসি এর আগে গত জুনে চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি অব দ্য চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সকে তাদের উদ্ভাবিত একটি নতুন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দেয়।
বিএমআরসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী গতকাল এ অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ টিকার সিআরও প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি কয়েক মাস আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়েছিল। তবে দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুমোদনের জন্য সময় লাগে। এখন তারা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে পারবে।
আইসিডিডিআর,বি টিকার পক্ষে যেসব প্রমাণ দিয়েছে, তা পর্যালোচনা করে গত ১৮ জুলাই ন্যাশনাল ইথিক্যাল কমিটি ক্লিয়ারেন্স দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির ওপর ভিত্তি করে আমরা এ অনুমোদন দিয়েছি। এ টিকার ট্রায়ালে আর কোনো বাধা নেই। তবে বাংলাদেশে ওই টিকা আনার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হবে। ট্রায়াল শুরুর আগে তারা আমাদের ট্রায়ালের সময় ও স্থান অবহিত করবে। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করব।’
জানা যায়, ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ যৌথ উদ্যোগে কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে। গত জানুয়ারিতে এ টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশে এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য গত জানুয়ারিতে আবেদন করা হয়। আইসিডিডিআর,বির মাধ্যমে এ টিকা বাংলাদেশে প্রয়োগ করবে ভারত বায়োটেক।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, রাশিয়ার স্পুতনিক-৫, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্না, বেলজিয়ামের জনসন অ্যান্ড জনসন এবং সুইডেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকাকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।