রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছে কেয়ার বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছে কেয়ার বাংলাদেশ। কক্সবাজারের ৪ নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে স্থাপিত আইসোলেশন সেন্টারটি ৪০ শয্যার। আজ (২ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় কেয়ার বাংলাদেশ।

কেয়ার বাংলাদেশ জানায়, গত রোববার সংস্থাটির উদ্যোগে কক্সবাজারের ৪ নং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সমপ্রসারিত অংশে ৪০ শয্যার কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টারটির উদ্বোধন করা হয়। স্থাপিত এ আইসোলেশন সেন্টারটি মৃদু থেকে গুরুতর উপসর্গবিশিষ্ট সব পর্যায়ের কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সেবা দেবে। নারী ও পুরুষ রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড, শৌচালয় ও স্নানাগারের সুবিধার পাশাপাশি এই আইসোলেশন সেন্টারটিতে থাকছে সার্বক্ষণিক চিকিত্সক, অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ, অক্সিজেন সেবা এবং কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের সুযোগ। সৌরশক্তিতে চালিত এই সেন্টারটিতে থাকছে রোগীদের তিন বেলা খাবারের সুবিধাও। কেয়ার বাংলাদেশ এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারটিতে অবস্থানকারী রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। মাঝারি কিংবা গুরুতর উপসর্গ দেখা দিলে রোগীদের উন্নত চিকিত্সার জন্য প্রেরণেরও ব্যবস্থা করবে সেন্টারটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজোয়ান হায়াত উদ্যোগটি সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এতো অল্প সময়ের মধ্যে নারী ও পুরুষ রোগীদের জন্য পৃথক সুবিধাবিশিষ্ট এমন একটি সেন্টার প্রতিষ্ঠায় কেয়ার বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। এই আইসোলেশন সেন্টারটি কেয়ার বাংলাদেশ এর কঠোর পরিশ্রমের একটি ফসল।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৪ নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের সমপ্রসারিত অংশের ক্যাম্প ইনচার্জ মো. মাহফুজার রহমান এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ড. আবু তোহা এম. আর. এইচ ভুইয়া। তারা উভয়ই সাইট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস (এসএমএস) ও অন্যান্য অংশীদারদের সহযোগিতার মাধ্যমে নবনির্মিত এই আইসোলেশন সেন্টারটিতে সার্বক্ষণিক সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করার বিষয়ে কেয়ার বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান।

কেয়ার বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কেয়ার বাংলাদেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটি অনন্য উদাহরণ এই আইসোলেশন সেন্টারটি। বাংলাদেশ সরকারের অকুণ্ঠ সাহায্য ও সহযোগিতায় কেয়ার দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

কেয়ার বাংলাদেশ ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (হিউম্যানিটারিয়ান) রাম দাশ বলেন, এই আইসোলেশন সেন্টারটি প্রতিষ্ঠার একদম সূচণালগ্ন থেকেই শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের অসামান্য সহযোগিতা পেয়ে এসেছে কেয়ার বাংলাদেশ। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইকে বেগবান করতে বিপুল চাহিদার প্রেক্ষাপটে এটি কেয়ার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন