খুলেছে ৪ হাজার ৮৫৭ কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের ইতিবাচক সাড়া পেয়ে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই খুলে দেয়া হয়েছে অধিকাংশ কারখানা। ঢাকা (আশুলিয়া-সাভার), গাজীপুর নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন শিল্প অধ্যুষিত অঞ্চলে মোট কারখানা রয়েছে হাজার ২২৬টি। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত হাজার ৮৫৭টি কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে, যা মোট কারখানার ৫৯ শতাংশ।

শিল্প পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গতকাল ঢাকার ৯০ শতাংশের বেশি কারখানাই খোলা ছিল। ঢাকার হাজার ৫৫০টি কারখানার মধ্যে হাজার ৪৩৭টিই খোলা ছিল। তবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে গাজীপুরে। এলাকায় হাজার ১১৪টি কারখানার মধ্যে গতকাল খোলা ছিল মাত্র ২৮২টি। নারায়ণগঞ্জ এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানাই খোলা হয়েছে। গতকাল এলাকায় হাজার ২৮৬টি কারখানার মধ্যে ৮০৬টি খোলা ছিল। এছাড়া গতকাল চট্টগ্রামে হাজার ৩৮২ কারখানার মধ্যে ২৬৭টি, ময়মনসিংহে ১৫০টির মধ্যে ৩১ খুলনা এলাকায় শিল্প পুলিশের আওতাধীন ৭৪৪ কারখানার মধ্যে ৫৪৬টিই খোলা ছিল।

আর ব্যবসায়ীদের সংগঠনভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিজিএমইএ আওতাধীন হাজার ৬৪৮টি কারখানার মধ্যে গতকাল খোলা থাকা কারখানার সংখ্যা হাজার ৫১০টি। আর বিকেএমইএ আওতাধীন ৭৪৭টি কারখানার মধ্যে ৫৪৯টি বিটিএমএর ৩৩০টি কারখানার মধ্যে ২৫৩টি খোলা ছিল।

প্রসঙ্গে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সহসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম বণিক বার্তাকে বলেন, পোশাক খাতে আমাদের ৯০-৯৫ শ্রমিকই কাজে যোগ দিয়েছেন। আর ঢাকাগামী সম শ্রমিকই কিন্তু পোশাক খাতের নয়। কারণ আমাদের নির্মাণ পরিবহন খাতেও বিশাল আকারের একটি শ্রমিক গোষ্ঠী রয়েছে।

মহামারীর সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখন চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ চালু রয়েছে। কল-কারখানা বন্ধ থাকায় ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিলের সময় শিল্প-কারখানার শ্রমিকরা ঢাকার বাইরে নিজ নিজ বাসস্থলে চলে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি সরকার রফতানিমুখী কারখানাগুলো খোলার ঘোষণা দিলে মহাসড়কে শিল্প শ্রমিকদের ঢল নামে। কোনো কোনো স্থানে যানবাহন না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভও করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গত শনিবার রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

রফতানিমুখী শিল্প মালিকরা বলছেন, বিধিনিষেধ চলাকালে কোনো শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরতে না পারলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, লকডাউন পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্রামে অবস্থানরত কোনো শ্রমিক-কর্মচারী কারখানায় কাজে যোগদান করতে না পারলে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এছাড়া আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতে শ্রমিকদের ঢাকায় ফেরার সুবিধার্থে রোববার রাত পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব জেলা প্রশাসককে মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন