সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজ চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় হলুদ তরমুজের একটি ক্ষেত ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

সাতক্ষীরায় গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজ উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার কয়েকটি এলাকায় ভিয়েতনামের মধুমালা জাতের হলুদ রঙের তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, হলুদ তরমুজ উৎপাদনে সময় লাগে কম। সে হিসেবে এটি খুবই লাভজনক। বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ বাদে ৭০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ভিয়েতনামের হলুদ রঙের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। মাচান পদ্ধতি ব্যবহার করে এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতে তার প্রায় ৪৫-৪৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

তিনি বলেন, মাচানে প্রায় হাজার ২০০ থেকে হাজার ২৫০টি তরমুজ ধরেছে। এসব তরমুজের একেকটির ওজন দুই কেজির ওপরে। সে হিসেবে আড়াই-তিন টন তরমুজ উৎপাদিত হবে। এসব তরমুজ বিক্রি করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষক। এর আগে তিনি পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি ইউনিটের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজের বীজ সংগ্রহ করেন।

বেসরকারি এনজিও উন্নয়ন প্রচেষ্টার কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নয়ন হোসেন জানান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ উন্নয়ন প্রচেষ্টার যৌথ উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজের বীজ বিতরণ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্যায়ে পাঁচ বিঘা জমিতে ভিয়েতনামের মধুমালা জাতের হলুদ রঙের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। তবে কৃষকরা তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম জানান, গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজ চাষে খুবই সম্ভাবনাময় সাতক্ষীরা জেলা। এখানকার মাটি আবহাওয়া জাতের তরমুজের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

তিনি বলেন, চলতি বছর জেলার বেশকিছু এলাকায় হলুদ তরমুজ চাষে কৃষকরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। উৎপাদনে কম সময় লাগায় এটি খুব লাভজনক। উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব জাতের তরমুজে। প্রতি হেক্টরে ২২-২৩ টন পর্যন্ত উৎপাদন করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, চলতি মৌসুমে প্রথমবার আট-নয় বিঘা জমিতে হলুদ তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন চাষীরা। আগামীতে জেলায় কৃষকদের মধ্যে জাতের তরমুজ আরো বেশি জনপ্রিয়তা পাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন