প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার জের

রংপুরে বখাটের ছুরিকাঘাতে আহত মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রংপুর

রংপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিয়ের দিন সকালে বখাটের ছুরিকাঘাতে আহত মাদ্রাসাছাত্রী তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি মারা গেছে। টানা চারদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়। গত ২৮ জুলাই তাকে ছুরিকাঘাত করে শাখাওয়াত হোসেন নামে এক যুবক। হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানে গ্রামে। নিহত ফুলতি ওই এলাকার তোয়াব আলীর মেয়ে। সে লোহানীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।

লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাকিব হাসান ডলু শাহ জানান, তারমিনা আক্তার ফুলতির বড় বোন তাহমিনার বিয়ে হয় মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা এলাকায়। আত্মীয়তার সম্পর্কে ওই এলাকার মোনায়েম হোসেনের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শাখাওয়াত হোসেন তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ২৮ জুলাই ফুলতির সঙ্গে অন্য ছেলের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। ঘটনা জানতে পেরে শাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি থেকে ওইদিন ভোরে ফুলতিদের গ্রামের বাড়িতে যায় সে। সময় ঘুম থেকে ফুলতিকে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে শাখাওয়াত। ফুলতির চিত্কারে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। শাখাওয়াতকে ধাওয়া দিলে সে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ফুলতিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের (ইনচার্জ) সিনিয়র স্টাফ নার্স রেবেকা সুলতানা জানান, ফুলতিকে বুধবার ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চারদিন ধরে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণ মারাত্মক জখম হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনায় ২৯ জুলাই মেয়েটির মামা নূর আলম বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টায় থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলাটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের তত্পরতা অব্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন