পেট্রলচালিত মাইক্রোবাসে শুল্ক হ্রাস চান আমদানিকারকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাইক্রোবাস হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক হ্রাস শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ডিজেলচালিত ১৫ আসনবিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকে মাইক্রোবাস হিসেবে শুল্ক সুবিধা দেয়া হয়েছে। ধরনের যানের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে আমদানিকারকরা পেট্রলচালিত মাইক্রোবাসেও একই ধরনের শুল্ক সুবিধা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গতকাল দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)

এবারের বাজেট বক্তব্যে নসিমন, লেগুনার মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ যানবাহন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করে বিকল্প গণপরিবহন হিসেবে মাইক্রোবাস ব্যবহার উৎসাহিত করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। লক্ষ্যে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফের অন্তর্গত হেডিং নম্বর ৮৭.০৩-এর বিভিন্ন এইচএস কোডের আওতাধীন সর্বোচ্চ আসন ১৮০০ সিসির ইলেকট্রিক মাইক্রোবাস, পেট্রল ডিজেলচালিত মাইক্রোবাস এবং হাইব্রিড মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়।

কিন্তু বারভিডা বলছে, নসিমন, লেগুনার প্রকৃত বিকল্প গণপরিবহন হেডিং ৮৭.০২-এর অন্তর্গত এইচএস কোড ৮৭০২.১০.৪৯ ৮৭০২.৯০.৪০-এর আওতাধীন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ আসন ক্ষমতাসম্পন্ন যান মাইক্রোবাস হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। যদিও ধরনের যানে শুল্ক সুবিধা দেয়া হয়নি। বরং বাজেট চূড়ান্তকালে হেডিং ৮৭.০২-এর অন্তর্গত এইচএস কোড ৮৭.০২.১০.৪৯-এর অধীন ডিজেলচালিত ১৫ আসনবিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকেও মাইক্রোবাস হিসেবে উল্লেখ করে সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়। ৮৭.০২.১০.৪৯ এইচএসকোডভুক্ত যানের মতোই মাইক্রোবাস হিসেবে পরিচিত হেডিং ৮৭.০২-এর অন্তর্গত এইচএস কোড ৮৭০২.৯০.৪০-তে শ্রেণীবিন্যাসযোগ্য ১০ থেকে ১৫ আসনবিশিষ্ট পেট্রলচালিত যানে সুবিধা দেয়া হয়নি। ফলে একই আসন ক্ষমতার মাইক্রোবাস হওয়া সত্ত্বেও পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশই রয়েছে।

বারভিডার দাবি ডিজেলচালিত মাইক্রোবাস বাংলাদেশে খুবই সামান্য সংখ্যায় আমদানি করা হয়, যা মোট আমদানির শতাংশের বেশি হবে না। বিপরীতে দেশে ১০-১৫ আসনবিশিষ্ট মাইক্রোবাসের মধ্যে গণপরিবহন হিসেবে পেট্রলচালিত মাইক্রোবাসই বেশি আমদানি ব্যবহার হয়। আমদানি করার পর -জাতীয় মাইক্রোবাস সিএনজি-এলপিজিতে রূপান্তর করে দেশে যাত্রী পরিবহন কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয়। কাজেই ডিজেলচালিত ১০-১৫ আসনবিশিষ্ট মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী সম্পূরক শুল্ক হ্রাসের সুবিধা দেয়া হলেও পেট্রলচালিত একই নামের, একই আয়তনের বহুল ব্যবহূত মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে তা না দেয়ার কোনো কারণ দেখা যায় না।

কোনো যানবাহনের ক্ষেত্রেই জ্বালানি কিংবা ফুয়েল ব্যবহার বিবেচনায় শুল্ক-করহারের তারতম্য করা হয় না। সাধারণত ইঞ্জিন ক্ষমতা (সিসি) ভিত্তি বিবেচনায় শুল্ক করারোপ করা হয়। এসব যানের ক্ষেত্রে জ্বালানি নয়, বরং যাত্রী আসন ক্ষমতাভিত্তিক শুল্ক করারোপ করা আছে বলে জানিয়েছে বারভিডা। অবস্থায় সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে হেডিং ৮৭.০৩-এর অন্তর্গত এইচএসকোড ৮৭০২.৯০.৪০-এর অধীন পেট্রলচালিত ১৫ আসনবিশিষ্ট যাত্রীবাহী যানকে এইচএসকোড ৮৭.০২.১০.৪৯-এর অধীন ১৫ আসনবিশিষ্ট যানবাহনের মতো একইভাবে শুল্ক সুবিধা দেয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন