কভিড-১৯ মহামারীজনিত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে জাপানের শিল্পোৎপাদন খাত। জুনে দেশটির শিল্পোৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। এ হার প্রাক-কভিড স্তরকেও ছাড়িয়ে গেছে।
কিয়োদো নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাড়ি ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন খাত পুনরুদ্ধার হওয়ায় এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির সরকার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
দেশটির অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, জাপানে কারখানা ও খনন খাতে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন সূচক ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৯৯ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিলের পর এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদনের মাসে জাপানের গাড়ি উৎপাদনসহ অটোমোবাইল শিল্প, স্টিয়ারিং ডিভাইস ও ইঞ্জিনের উৎপাদন বিগত মাসের তুলনায় ২২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে, যা সূচকের সবচেয়ে বড় উত্থানের সৃষ্টি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, মে মাসে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এরপর বিশ্বব্যাপী চিপের চলমান ঘাটতির মধ্যেও দেশটির অটোমোবাইল ও গাড়ি নির্মাতারা তীব্র চাহিদা পূরণে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
চিপ উৎপাদনে জড়িত যন্ত্রাংশের উৎপাদন ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ বৃদ্ধিও সামগ্রিকভাবে সূচকের রেকর্ড তৈরিতে সহায়তা করেছে। মন্ত্রণালয় বাজার মূল্যায়ন অব্যাহত রাখার মাধ্যমে শিল্পোৎপাদন বাড়ছে বলে জানায়।
অন্যদিকে জুনে মোটরযান বাদে পরিবহন সরঞ্জামের উৎপাদন ৭ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে বলে জানা গেছে।
সূচকের তথ্যানুযায়ী, শিল্প খাতের পণ্য চালানের পরিমাণ ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ইনভেন্টরি ২ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বেড়ে ৯৫ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
উৎপাদনকারীদের একটি জরিপের তথ্যানুযায়ী, দেশটির মন্ত্রণালয় জুলাইয়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ উৎপাদন হ্রাসের পাশাপাশি আগস্টে ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, যদিও উত্থান-পতন আছে, তবে আমরা আশাবাদী যে উৎপাদনের এ ঊর্ধ্বগতি সামনের বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
আশা প্রকাশের পাশাপাশি তিনি জাপান ও অন্যান্য দেশে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণের বিস্তার ও এর ফলে উদ্ভূত ঝুঁকির দিকেও ইংগিত করেছেন। পাশাপাশি কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও গাড়ি উৎপাদনে চলমান চিপ সংকটকেও তুলে ধরেন তিনি।