নেপালের কৃষিপণ্য আমদানি ৩০% বেড়েছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীতে লকডাউন নানা বিধিনিষেধের কারণে বিশ্ববাণিজ্য যখন পঙ্গু তখনো ক্রমাগত আমদানি বাড়িয়েছে নেপাল। বিশেষ করে ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্য আমদানিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে দেশটি। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট

নেপালে ২০২০-২১ অর্থবছর শেষ হয়েছে ১৫ জুলাই। বিদায়ী অর্থবছরে দেশটির কৃষিপণ্য আমদানি এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। সময় দেশটি ৩২ হাজার ৫০০ কোটি রুপির কৃষিপণ্য আমদানি করে। ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশটির কৃষিপণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার কোটি রুপি।

নেপালের শুল্ক বিভাগের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে দেশটির মোট পণ্য আমদানি এর আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে দশমিক ৫৩ ট্রিলিয়ন রুপিতে উন্নীত হয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষিপণ্যের আমদানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ নেপালের মোট পণ্য আমদানিতে কৃষিপণ্যের অংশীদারিত্ব বেড়েছে ২১ শতাংশ।

শুল্ক বিভাগ জানায়, কৃষিপণ্যের আমদানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে ভোজ্যতেল, বিশেষ করে সয়াবিন তেল, খাদ্যশস্য চিনি। শুধু এক বছরেই নেপালের ভোজ্যতেল আমদানি হাজার ২৬৫ রুপি বেড়ে হাজার ২৯০ রুপিতে উন্নীত হয়েছে। ভোজ্যতেলের মধ্যে সর্বাধিক আমদানি হয়েছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। ২০২০-২১ অর্থবছরে হাজার ৩০০ কোটি রুপির অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করেছে। বিদায়ী অর্থবছর পণ্যটি নেপালের প্রধান আমদানি পণ্যে পরিণত হয়েছে।

নেপাল সব মিলিয়ে লাখ ৫২ হাজার ৬২৬ টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করে। এর মধ্যে শুধু আর্জেন্টিনা থেকেই আমদানি হয় হাজার কোটি রুপির অপরিশোধিত সয়াবিন তেল।

সরকারি তথ্যমতে, ভোজ্যতেলের পর সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে খাদ্যশস্য। সর্বশেষ অর্থবছরে নেপালের খাদ্যশস্য আমদানি বেড়েছে হাজার ২৭১ কোটি রুপি। আমদানীকৃত মোট খাদ্যশস্যের মধ্যে হাজার ৭৬২ কোটি রুপির চাল হাজার ৫৪ কোটি রুপির ধান আমদানি হয়েছে। অন্যদিকে হাজার ৬০০ কোটি রুপির ভুট্টা হাজার ২০০ কোটি রুপির গম আমদানি করেছে দেশটি।

নেপালের সাবেক বাণিজ্য সচিব পুরুষোত্তম ওঝা বলেন, নেপালের মতো কৃষিপ্রধান একটি দেশের জন্য কৃষিপণ্য আমদানিতে এমন উল্লম্ফন আশঙ্কাজনক। যেখানে সব মিলিয়ে দশমিক ৫৩ ট্রিলিয়ন রুপির পণ্য আমদানি হয়েছে সেখানে রফতানি হয়েছে মাত্র ১৪ হাজার ১০০ কোটি রুপির পণ্য। আমদানি রফতানিতে বিস্তর ব্যবধানের কারণে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বাণিজ্য ঘাটতি। বিদায়ী অর্থবছরে নেপালে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, যা দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন