টানা ছয়দিন ধরে মৃতের সংখ্যা দুই শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত মৃতের সংখ্যা এক মাস ধরে বেড়েই চলেছে। সময়ে দৈনিক শনাক্তে রেকর্ডের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও ছিল সর্বোচ্চ। গতকাল সর্বশেষ আরো ২১২ জন করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিন আরো ১৩ হাজার ৮৬২ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। দেশে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের মার্চ। চলতি বছরের ২৮ জুলাই শনাক্তের সংখ্যা ১২ লাখ পেরিয়ে যায়। রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর গত ২৮ জুলাই মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার অতিক্রম করে। এর মধ্যে জুলাই প্রথমবারের মতো ২০০ ছাড়িয়ে যায়। আর মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়। দৈনিকের হিসাবে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন শনাক্ত হয়েছে বুধবার। জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশে লাখ ১৮ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।  সময়ের মধ্যে হাজার ৮২১ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

দেশে করোনা মহামারীর প্রকোপ শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কম-বেশি হলেও প্রায় তিন মাস ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দৈনিক সংক্রমণ মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে। বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাসের চারটি মিউটেশন (রূপান্তর) বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। ধরনগুলো ব্যাপক উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সংস্থাটি বলছে, পর্যন্ত আলফা ধরন ১৮২টি দেশে, বিটা ১৩১টি দেশে, গামা ৮১টি দেশে ১৩২টি দেশে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে আরো আটটি দেশে ডেল্টা সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৪৮টি পরীক্ষাগারে ৪৫ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ হাজার ৮৬২ জনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলো ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন কভিড রোগী। আর আক্রান্তদের মধ্যে মোট ২০ হাজার ৪৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দেশে সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৭ লাখ হাজার ৯১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ আরো ১৩ হাজার ৯৭৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫। গতকাল নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শতাংশ। প্রতি ১০০ জন শনাক্তে সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর মোট মৃত্যুর হার দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গতকাল মারা যাওয়া ২১২ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৫ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৩ জন, খুলনায় ৩৬, রাজশাহীতে ১৩, বরিশালে ১১, সিলেটে ১৭, রংপুরে নয় এবং আটজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। গতকাল সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। বিভাগটিতে হাজার ৫৯ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন