বাজার মূলধন বেড়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা

ডিএসইর লেনদেন কমেছে ১৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের মধ্যে লেনদেন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। তবে ১৫ জুলাই থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সবকিছু স্বাভাবিক করে দেয়ায় ব্যাংক লেনদেনের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুঁজিবাজারেও আগের সময় অনুযায়ী লেনদেন শুরু হয়, যা চলে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। তবে ঈদের পর থেকে পুনরায় সীমিত পরিসরে লেনদেন চালু হয়। জুলাই থেকে লকডাউন শুরু হয় এবং সীমিত পরিসরে ব্যাংক পুঁজিবাজার খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়। সেই অনুসারে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলে তিন ঘণ্টা। গত সপ্তাহে লেনদেনের মাধ্যমে সপ্তাহ শেষে উভয় এক্সচেঞ্জের সব সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। তবে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে গড় লেনদেন প্রায় ১৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে উভয় এক্সচেঞ্জে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল লাখ ২৫ হাজার ২৭১ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ২১৮ টাকা। যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৬৭০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে হাজার ১৩২ কোটি ৯৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ টাকা বা দশমিক ৭৪ শতাংশ।

বাজার মূলধনের সঙ্গে গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন বড়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন হয়েছে হাজার ১২৮ কোটি ৬৭ লাখ হাজার ৬৬৫ টাকা। যেখানে আগের সপ্তাহে (১২-১৫ জুলাই) চার কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল হাজার ৭০৬ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৯ টাকা। সে হিসাবে টাকার অংকে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়েছে ৪২২ কোটি ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৫৬ টাকা বা দশমিক ৩০ শতাংশ।

একই সঙ্গে গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে হাজার ৪২৫ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ১৩৩ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ছিল হাজার ৬৭৬ কোটি ৬২ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৭ টাকা। সে হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইর গড় লেনদেন কমেছে ২৫০ কোটি ৮৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৪ টাকা বা ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৪২৫ দশমিক ২৬ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল হাজার ৩০৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৩২৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল হাজার ২৭৪ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪১ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৪০১ দশমিক ০৫ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল হাজার ৩৫৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮১ কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৯টির, কমেছে ১৬৭টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির আর লেনদেন হয়নি চারটির।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসই গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৪ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে লাখ ৫৭ হাজার ৭২০ কোটি লাখ ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে  হাজার ৮২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা বা দশমিক ৯৬ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন