২০২০-২১ অর্থবছর

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৩০ কোটি টাকার পণ্য রফতানি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

করোনা মহামারী সত্ত্বেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রফতানির পরিমাণ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্দরটি ব্যবহার করে কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ২৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা (ডলারপ্রতি ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা ধরে) মূল্যের বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি হয়েছে। যা ২০২৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় কোটি ৩১ লাখ ডলার বেশি। বন্দর ব্যবহার করে ভারতে আরো কিছু পণ্য রফতানির সম্ভাবনা থাকলেও ভারতের অভ্যন্তরে কিছু জটিলতা থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করছেন রফতানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতে ব্যাপক পরিমাণে চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে কর্টন র‍্যাগস (এক ধরনের সুতা), রাইস ব্র্যান অয়েল (তুষের তেল), ওয়াটার পাম্প (পানির পাম্প) রফতানি হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে হাজার ৪০০ পিস পানির পাম্প, ২৮৫ টন কর্টন র‍্যাগস, ২৬ হাজার ৪৬৫ টন রাইস ব্র্যান অয়েল রফতানি হয়েছে। এসব পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে কোটি ৭২ লাখ ৪১ হাজার ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বন্দর ব্যবহার করে ৬০০ পানির পাম্প, ১১৯ টন কর্টন র‍্যাগস, ১৯ হাজার ৬৭০ টন রাইস ব্র্যান অয়েল, চার টন পানির পাম্পের বিভিন্ন পার্টস রফতানি হয়েছিল। যা থেকে কোটি ৫৮ লাখ ৯৪ হাজার ডলার আয় হয়েছিল।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, ব্যাপক হারে পণ্য রফতানির সম্ভাবনা থাকলেও তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। কিছু সমস্যার কারণে আমরা ভারতে পণ্য রফতানি করতে পারছি না। এর কারণগুলো হলো, ভারতের হিলি কাস্টমসে সুপারের ওপরে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নেই, উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিস নেই, কোনো শেড নেই, রাস্তাঘাটগুলো অপ্রশস্ত। এছাড়া বন্দরসহ অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকার কারণে আমাদের রফতানীকৃত পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ভারতে গিয়ে সময়মতো খালাস করা যায় না এবং এর ফলে সময়মতো পণ্য ডেলিভারি করা যায় না।

বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্য্যন্ডএফ এজেন্ট আ্য্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন বলেন, দেশে যখন দাম বেড়ে যায় এবং ব্যাপক চাহিদা থাকে সে সময়ে আমরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করি। পক্ষান্তরে আমাদের দেশে যখন পর্যাপ্ত কাঁচামরিচের উৎপাদন হয়, সে সময় আমরা ভারতে কাঁচামরিচ রফতানি করতে পারি না।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে কোটি ৭২ লাখ ডলার। যেখানে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রফতানি মূল্য ছিল কোটি ৫৮ লাখ ডলার। ফলে রফতানি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৮২ দশমিক ৮৭ ভাগ। বন্দর দিয়ে রিচার্জেবল ব্যাটারি, জুস, কৃষিজাত পণ্য আলু রফতানির সুযোগও রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন