অ্যামাজনের বিক্রিতে শ্লথগতির পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

নর্থ লাস ভেগাসে অ্যামাজনের একটি ফুলফিলমেন্ট সেন্টার থেকে পণ্য নিয়ে ফিরছেন এক গ্রাহক ছবি: এপি

আগামী কয়েক প্রান্তিকে পণ্য বিক্রিতে শ্লথগতি দেখার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় -কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় কেনাকাটার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা বাইরে বের হওয়ায় প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ নির্বাহীর (সিইও) দায়িত্ব গ্রহণ করা অ্যান্ডি জেসির জন্য তা নেতিবাচক খবর হিসেবেই দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘ ২৭ বছর সিইওর দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি সরে দাঁড়ান অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।

অ্যামাজনের প্রাইম মেম্বারদের খরচের পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল অ্যামাজনের শেয়ারদর শতাংশ পতন হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যামাজনের আয় বেড়েছিল ৪৪ শতাংশ। ৩০ জুন শেষ হওয়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ২৭ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভের উপাত্তে দেখা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে অ্যামাজনের আয় হয়েছে ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বিশ্লেষকদের ১১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার আয়ের পূর্বাভাস থেকে যা ২০০ কোটি ডলার কম। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা ৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি ডলার, যা অনলাইন বিক্রেতা জায়ান্টটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা।

দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনার প্রকোপ চলছে। সময়ে অ্যামাজনের আর্থিক স্ফীতি অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মুনাফা অর্জনের দিক থেকে অ্যামাজন রেকর্ড গড়েছিল। ২০ কোটি প্রাইম লয়ালিটি সাবস্ক্রাইবার অর্জনের পাশাপাশি বিপুল চাহিদা পূরণে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ লাখ কর্মী নিয়োগ দিয়েছিল।

অ্যামাজনের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ব্রায়ান ওলস্যাভস্কি পরিস্থিতিকে গত বছরের তুলনায় কঠিন বলে মনে করছেন। গত বছর মানুষ বেশির ভাগ সময় ঘরেই অবস্থান করত এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য -কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের গ্রাহকরা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন