উন্নয়ন অভিযাত্রা

বহির্বিশ্বের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা

ড. মো. আইনুল ইসলাম

দেশে এখন  করোনা ভাইরাসের  দ্বিতীয় ঢেউ  চলছে, যা বেশ উদ্বেগ আশঙ্কাজনক। প্রায় দেড় বছর ধরে সংযোগ মাধ্যমগুলোয় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের খবরই প্রাধান্য পেয়ে আসছে। করোনার অভিঘাতের সংকটে বিশ্ব অর্থনীতি যখন পর্যুদস্ত, তখন বিদেশের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষকরা উদীয়মান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে যাচ্ছেন ক্রমাগতভাবে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা এগিয়ে চলার মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে, যা করোনা মহামারীর কারণে সীমিত এবং নিয়ন্ত্রিত।

করোনা আবহের এই কঠিন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগের একটি খবর অনেকটা চাপা পড়ে গেছে। খবরটি হলো, উদীয়মান বাংলাদেশ তার আঞ্চলিক শক্তি দেখাতে শুরু করেছে। মন্তব্য দেশের কোনো বিশেষজ্ঞ বা রাজনীতিকের নয়বরং মন্তব্যটি করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কলেজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডেভিড ব্রিউস্টার। গত ১০ জুন দি  ইন্টারপ্রিটারে ‘A rising Bangladesh starts to exert its regional power’ শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে ডেভিড ব্রিউস্টার আরো লিখেছেন, সম্প্রতি শ্রীলংকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তামূলক ঋণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। একটি দরিদ্র সাহায্যপ্রার্থী দেশ থেকে আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশ হওয়ার পথে এটি আমাদের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট এটা বাংলাদেশের ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্যতম খেলোয়াড় হয়ে ওঠার কারণে সম্ভব হয়েছে। নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জনের সময় বাংলাদেশ ছিল আপাত সম্ভাবনাহীন পৃথিবীর দরিদ্রতম একটি দেশ, যাকে হেনরি কিসিঞ্জার তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তবে আজকের বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের আত্মবিশ্বাসী একটি জাতি, যাদের রয়েছে রফতানিনির্ভর উদীয়মান এক অর্থনীতি; যা দুই দশক ধরে শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। ২০২০ সালে কভিড-১৯-এর কারণে প্রবৃদ্ধির হার দশমিক শতাংশে নেমে এলেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে দশমিক শতাংশ এবং ২০২২ সালে এটা দাঁড়াবে দশমিক শতাংশে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার, যা প্রতিবেশী ভারত (১৯৪৭ ডলার) এবং পাকিস্তানের (১৫৪৩ ডলার) চেয়ে ঢের বেশি। স্বাস্থ্য, গড় আয়ু, জন্মহার নারীর ক্ষমতায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা নির্দেশকগুলোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য অঞ্চলে তার ভূমিকায় কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও অনেক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ঢাকার দৃষ্টি আকর্ষণে লড়ে যাচ্ছেন। ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ বাংলাদেশের ৪৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থনৈতিক সুস্বাস্থ্যের নির্দেশ করে।

করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় শ্রীলংকা যখন হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক সে সময়ে বাংলাদেশ সহায়তামূলক ঋণ সুবিধা দিয়ে দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে; যা একটি অনন্য উদাহরণ। উল্লেখ্য, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে শ্রীলংকার পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। ২০১৯ সালে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) খাতের অবদান ছিল ১২ দশমিক শতাংশ, যা এখন অনেক কমেছে। ফলে বৈদেশিক বিনিময়ে প্রতিনিয়ত মান হারাচ্ছে দেশটির মুদ্রা রুপি। এতে ঘাটতি পড়েছে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুদে। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ডলার ধার করছে শ্রীলংকা। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারও ২০ কোটি ডলার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার দেয়া হবে। একইভাবে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) সদস্য দেশ হিসেবে বন্ধুপ্রতিম আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দারিদ্র্যপীড়িত দেশ সুদানকে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬৫ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার বছরের জুনে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি রিপোর্ট থেকে আরো জানা যায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আফ্রিকান দেশ সোমালিয়ার দারিদ্র্যমুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ দশমিক ২১ কোটি টাকার বেশি অর্থ দেয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নে দেশ  সম্পর্কে উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল অত্যন্ত নেতিবাচক। দীর্ঘ নয় মাসের নজিরবিহীন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্রতম দেশভারত পাকিস্তানের চেয়ে দরিদ্র তো বটেই। শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের দরিদ্রতম ১০টি দেশের একটি। বাংলাদেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতাও ছিল শতকরা ৮৮ ভাগ এবং ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে জনসন নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক যখন স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সনের তদানীন্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত সেক্রেটারি অব স্টেট . হেনরি কিসিঞ্জার তাতে সায় দিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা ইন্টারন্যাশনাল বটমলেস বাস্কেট নাম দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তদানীন্তন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে বারবার ব্যবহার করা হতো। এরপর ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক একটি মন্তব্য করে, তা হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন সমস্যাটি জটিল এবং বাংলাদেশের ওপর ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত জাস্ট ফালান্ড জন পারকিনসনের বিশ্বখ্যাত গবেষণা পুস্তকটির নামই ছিল বাংলাদেশ টেস্ট কেস অব ডেভেলপমেন্ট এবং ১৯৭৬ সালে দুই অর্থনীতিবিদ জাস্ট ফাল্যান্ড (নরওয়ে) এবং জে আর পারকিনসন (আয়ারল্যান্ড) তাদের গবেষণায় প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নের একটি পরীক্ষাক্ষেত্র। বাংলাদেশ যদি কোনো দিন তার উন্নয়ন সমস্যার সমাধান করতে পারে, তাহলে বুঝতে হবে যেকোনো দেশ উন্নতি করতে পারবে। সুতরাং তাদের ধারণা ব্যর্থ প্রমাণিত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছেই।

২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের অভিমত দ্রুত বদলাতে শুরু করে। ২০১১ সালে বিশ্বখ্যাত মার্কিন দৈনিক পত্রিকা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রযাত্রার বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে বিষয়ে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। ২০১২ সালে গ্রেট ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত অর্থনীতি বিষয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থানকারী সাপ্তাহিক পত্রিকা দি ইকোনমিস্ট নিশ্চিত করল যে সত্যি সত্যিই বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নের এমন এক স্তরে উপনীত হয়েছে, যেখান থেকে অর্থনীতিবিদরা প্রকৃতপক্ষেই আশাবাদী হয়ে উঠছেন যে বাংলাদেশ ক্রমেই অনুন্নয়ন দারিদ্র্য কাটিয়ে উঠছে। ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ব্রিটেনের আরেকটি খ্যাতনামা দৈনিক পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান ভবিষ্যদ্বাণী করল, বাংলাদেশ অর্থনীতির বর্তমান সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ইউরোপের প্রধান প্রধান কয়েকটি অর্থনীতিকেও ছাড়িয়ে যাবে।

ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের সর্বশেষ এক রিপোর্টে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১ নামের রিপোর্ট গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। এতে মূলত সামনের বছর এবং আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের কোন দেশের অর্থনীতি কী হারে বাড়বে, তারই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সিইবিআর প্রতি বছর রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্ট অনুযায়ী আর মাত্র সাত বছর পরেই চীন হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০৩০ সালে ভারত হবে তৃতীয়। আর ২০৩৫ সাল নাগাদ ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বহু ধাপ উপরে উঠে পৌঁছে যাবে ২৫ নম্বরে। ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। সে পর্যায় থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে, যা ২০২৪ সালের মধ্যে (যা কভিড-১৯-এর কারণে ২০২৬ সালে নির্ধারণ করা হয়েছে) উত্তরণপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নীত হওয়ার মানে হলো, দেশের মোট জাতীয় আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বেড়েছে। অন্যদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশুমৃত্যু রোধ গড় আয়ু বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করা হয়েছে ব্লগপোস্টে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিবারে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ভূমিকার প্রশংসা করেছেন অর্থনীতিবিদরা। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনসহ অনেক অর্থনীতিবিদই বাংলাদেশের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বগতি। তাই ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বলে অনেক সংস্থাই পূর্বাভাস দিয়েছিল, যা প্রমাণিত হয়েছে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা তথা উন্নয়ন ধারা প্রসঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রামানিয়াম প্রজেক্ট সিন্ডিকেটে লেখা এক নিবন্ধে বলেন, বাংলাদেশ একবার ধর্মীয় কারণে বৃহত্তর ভারত থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর ভাষাগত সাংস্কৃতিক কারণে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। বহুদিন তারা ভারত পাকিস্তানের উপহাসের পাত্র ছিল। কিন্তু সেই দিন আর নেই। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের এক চোখ ধাঁধানো মডেল। যে জায়গায় বাংলাদেশ এখন আছে, তাতে ভারত পাকিস্তানের জন্য মডেল হতে পারে দেশটি। মন্তব্যটি সত্যিই আমাদের জন্য গর্বের।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রাপ্তি অনেক। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিস্ময় দেখিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিকে উন্নয়নের ধারা গতিশীল করার কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর। বিশ্বের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বিকাশমান বাংলাদেশের বর্তমান অর্জন এবং এর গতিময়তায় সামনের দিনগুলো নিয়ে আশাবাদী। করোনা অভিঘাতের মধ্যেও বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ধারা অব্যাহত রাখা আমাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বাগ্রে দরকার বাংলাদেশের পুরো জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় এনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যথাযথ সম্পৃক্ত রাখা। একই সঙ্গে আগামীর অন্যান্য চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সেগুলোর বিষয়ে যথাযথ কৌশল নির্ধারণ করা। গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারা কঠোরভাবে মনিটর করে যেতে হবে। সর্বোপরি সুশাসন নিশ্চিতে কঠোরতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা গেলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। তবেই বাংলাদেশ একদিন উন্নত, সমৃদ্ধ সম্পদশালী দেশে পরিণত হবে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তব রূপ লাভ করবে।

 

. মো. আইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন