খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন রেকর্ড সর্বোচ্চ বাড়বে

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি মৌসুমে ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদন ৭ কোটি ৪০ লাখ টন বৃদ্ধি পাবে ছবি: ফুড নেভিগেটর

দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ খরার সম্মুখীন হয়েছে। পানি সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে এসব দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন। অঞ্চলে খরার কারণে খাদ্যশস্যের মাসভিত্তিক বৈশ্বিক উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বৈশ্বিক উৎপাদন রেকর্ড সর্বোচ্চ বাড়বে। এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)

প্রতি মাসে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের উৎপাদন, বাণিজ্য, ব্যবহার, মজুদ রফতানিসংবলিত প্রাক্কলন প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইজিসি। সম্প্রতি চলতি মাসের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে ২০২১-২২ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়ে ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টনে উন্নীত হবে বলে জানানো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন বাড়বে শতাংশ। ২০২০ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২২১ কোটি ৩০ লাখ টন। তবে আগের মাসের প্রাক্কলনের তুলনায় নতুন প্রাক্কলনে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন ৬০ লাখ টন কমতে পারে। জুনে প্রাক্কলিত উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৩০ কোটি ১০ লাখ টন।

খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাজার নিয়ে বৃহস্পতিবার আইজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চলতি মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন গত তিন বছরের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখবে ভুট্টা। চলতি মৌসুমে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন গত মৌসুমের তুলনায় কোটি ৪০ লাখ টন বাড়বে। অন্যদিকে মৌসুমে গমের বৈশ্বিক উৎপাদন ৭৮ কোটি ৮০ লাখ টনের রেকর্ড স্পর্শ করতে পারে।

অন্যদিকে খাদ্যশস্যের ব্যবহার গত মৌসুমের তুলনায় শতাংশ বেড়ে ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ব্যবহার শতাংশ কমতে পারে। জুনে বিশ্বজুড়ে ২২৯ কোটি ৯০ লাখ টন খাদ্যশস্য ব্যবহারের প্রাক্কলন করা হয়েছিল। আইজিসি জানায়, গবাদি পশুর খাদ্য উৎপাদনে খাদ্যশস্যের ব্যবহার প্রত্যাশার তুলনায় কমেছে। মূলত কারণেই নতুন প্রাক্কলনে ব্যবহার হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে ২০২১-২২ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক মজুদ প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। সময় মোট মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৯ কোটি ৪০ লাখ টনে। গত মৌসুমে মজুদ করা হয়েছিল ৫৯ কোটি ৩০ লাখ টন। তবে আগের প্রাক্কলনের তুলনায় মজুদ কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আইজিসি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগের প্রাক্কলনের তুলনায় খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য বাড়বে। মূলত চীনের বাজারে রেকর্ড সর্বোচ্চ যব আমদানি বিশ্ববাণিজ্যকে চাঙ্গা রাখবে। তবে উৎপাদন বাড়লেও গত মৌসুমের তুলনায় খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য থাকবে নিম্নমুখী। মৌসুমে বাণিজ্য শতাংশ কমে ৪১ কোটি ৯০ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। ২০২১-২২ মৌসুমে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি ৬০ লাখ টন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে বৈশ্বিক সয়াবিন উৎপাদনের পরিমাণ জুনের প্রাক্কলনের তুলনায় শতাংশ কমিয়ে এনেছে আইজিসি। ২০২১-২২ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ৩৮ কোটি ২০ লাখ টন সয়াবিন উৎপাদিত হবে। তবে গত বছরের তুলনায় কৃষিপণ্যটির উৎপাদন কোটি ৯০ লাখ টন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় কৃষিপণ্যটির বাণিজ্য শতাংশ কমে আসবে।

এদিকে বিশ্বব্যাপী চালের উৎপাদন দাঁড়াবে ৫১ কোটি ১১ লাখ টন। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন বাড়লেও জুনের প্রাক্কলনের তুলনায় উৎপাদন হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে আইজিসি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন