দুই বছর পর মুনাফায় ফিরেছে বোয়িং

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০১৯ সালের পর প্রান্তিক ভিত্তিতে প্রথম লাভের মুখ দেখেছে বোয়িং ইনকরপোরেশন। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) তাদের রাজস্ব আগের চাইতে বেড়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বোয়িংয়ের আয় ৫৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত বছর সংস্থাটির লোকসান হয়েছিল ২৪০ কোটি ডলার। শিল্প খাতসংশ্লিষ্টরা অবশ্য বেশ বড় লোকসানেরই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।

দুটি ৭৩৭ ম্যাক্স জেটের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর বিপদে পড়ে যায় বোয়িং। সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সব ধরনের চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রান্তিকে ৭৯টি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে তারা, এর মধ্যে ৪৭টিই ম্যাক্স জেট। বাহন সরবরাহই প্রতিষ্ঠানটির আয়ের বড় উৎস। ফলে সরবরাহ করতে না পারলে নগদ উপার্জন হয় না তাদের।

দুটি দুর্ঘটনা, এরপর বিশ্বজুড়ে মহামারী। এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গত দেড় বছরে হাজারো মানুষকে চাকরিচ্যুত করতে বাধ্য হয়েছিল বোয়িং। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিল ক্যালহউন বলেন, তাদের ব্যবসা এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে এসেছে। আপাতত তাই আর ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে বোয়িংয়ের কর্মী সংখ্যা লাখ ৪০ হাজারের মতো।

তবে পুরোপুরি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বোয়িংয়ের আরো সময় লাগবে। শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি তাদের ম্যাক্স জেট তৈরির কারখানাটি বন্ধ করে দিচ্ছে। উৎপাদন ত্রুটির জন্য বড় আকারের ৭৮৭ উড়োজাহাজের চালান দুবার স্থগিত করতে হয়েছে। সমস্যার কারণে ৭৮৭ এস মডেলের উৎপাদন ব্যয়ও কমাতে হয়েছে।

ক্যালহউন বলেন, মহামারীর কারণে প্রশস্ত উড়োজাহাজগুলোর চাহিদা কমে গিয়েছিল। তবে এখন তা আবার ঠিক হচ্ছে। ৭৮৭ সরবরাহের জন্য চাহিদা বেড়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের মধ্যকার উত্তেজনা বোয়িংকেও ছুঁয়ে গেছে। কারণ চীনের উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো বোয়িংয়ের কাছ থেকে ১০০ ম্যাক্স জেটের চাহিদা দিয়েছে। কিন্তু দেশটির সরকার এখনো তা অনুমোদন দেয়নি। বোয়িং আশা করছে, বছরের শেষ নাগাদ অনুমোদন পাওয়া যাবে। এরপর চীনের অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী চাহিদা মেটাতে শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিকে যাত্রী পরিবহনের জন্য আরো উড়োজাহাজ সংগ্রহ করবে সংস্থাগুলো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন