পরীমণির ‘বিশ্বসুন্দরী’র টিভি প্রিমিয়ার

ফিচার প্রতিবেদক

নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর প্রথম সিনেমা বিশ্বসুন্দরী। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমণি সিয়াম। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সিনেমাটি মুক্তি পায়। মহামারীকালেও ছবিটি টানা চার মাস প্রেক্ষাগৃহে দাপট দেখিয়েছিল। এবার ঘরে বসেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখা যাবে সিনেমাটি। অর্থাৎ আজ আগামীকাল (৩০ ৩১ জুলাই) টানা দুদিন বহুল আলোচিত বিশ্বসুন্দরী সিনেমাটি মাছরাঙা টিভিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে।

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, বিশ্বসুন্দরী ছবিটি করোনার সময় শীতের মধ্যে মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যেও ছবিটি দেখতে এত মানুষ এসেছে, যা আমি কল্পনাও করিনি। আমার ছবি টানা চার মাস হলে চলেছে। সেদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবতী। করোনা না থাকলে হয়তো আরো অনেক দর্শক পেতাম। তার পরও যে দর্শক পেয়েছি, তাতেই আমি খুশি। যারা সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখতে পারেননি, তাদের কথা চিন্তা করেই ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার করা হচ্ছে।

বিষয়ে পরীমণি বণিক বার্তাকে বলেন, বিশ্বসুন্দরীর জার্নিটা আমার কাছে সারাজীবনের জন্য মনে রাখার মতো একটা জার্নি। সিনেমাটা বরাবরই আমার ভালোবাসার জায়গা জুড়ে থাকে। মাছরাঙা টেলিভিশনের ১০ বছর পূর্তিতে ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার হচ্ছে। এটা আমার জন্য ভীষণ আনন্দের।

চয়নিকা চৌধুরী বলেন, তখন করোনার ভয় থাকায় মায়েরা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে পারেননি। আমি মনে করি, সিনেমা মায়েদের দেখা দরকার। মাছরাঙা টিভির জন্মদিনে সিনেমাটির টিভি প্রিমিয়ার হচ্ছে। পরপর দুদিন দেখানো হবে। আশা করি মায়েরা ঘরে বসে সিনেমাটি দেখতে পারবেন। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মেরও এটি দেখা দরকার বলে আমি মনে করি। সুযোগ করে দিল মাছরাঙা টিভি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।

তিনি বলেন, যোগ্যতা থাকলেও সেটা প্রমাণের জন্য প্লাটফর্ম দরকার। সিনেমায় সে প্লাটফর্মটা আমাকে দিয়েছেন অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু ভাই অজয় কুমার কুণ্ডু। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তাদের জন্যই আমি যোগ্যতা প্রমাণের প্লাটফর্মটি পেয়েছিলাম। সম্প্রতি বিশ্বসুন্দরীর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থার ওয়েবসাইট থেকেই বিশ্বসুন্দরী রিলিজ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সিনেমাটি সাতদিন পরই সেখান থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হন সংশ্লিষ্টরা।

চয়নিকা জানান, ওয়েবসাইটে দেয়ার পরপর বিশ্বসুন্দরী পাইরেসির কবলে পড়ে। বেশকিছু ইউটিউব চ্যানেল থেকে রিপোর্ট করে নামানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাধ্য হয়ে ওয়েবসাইট থেকেই সিনেমাটি নামিয়ে ফেলা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন