কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে কাজ হারিয়ে গত এক বছরেরও বেশি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। ফেরত আসাদের মধ্যে দুই লাখ প্রবাসী ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে এককালীন ভাতা সুবিধা পাবেন। এছাড়া ২৩ হাজার ৫০০ কর্মীকে বাছাইপূর্বক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদের ব্যবস্থা এবং দেশে-বিদেশে চাকরিপ্রাপ্তিতে সহযোগিতা করা হবে।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দেশের ৩২টি জেলায় জানুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সাল নাগাদ ৪২৭ কোটি ৩০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ২ কোটি ৩০ লাখ ৩৫ লাখ এবং বিশ্বব্যাংক হতে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হবে ৪২৫ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বিদেশ থেকে যখন প্রবাসীরা ফেরত আসেন, তখন তাদের একটি রেজিস্ট্রি করা হয়। সেই তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, ৪ লাখ ৮০ হাজার ফেরত এসেছেন। এর মধ্যে প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক প্রকল্পের মাধ্যমে দুই লাখ শ্রমিককে সহায়তা করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসী শ্রমিকদের ডাটাবেজ করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে কভিড-১৯-এর কারণে বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণ/ পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুই লাখ কর্মীর ওরিয়েনটেশন ও কাউন্সেলিং প্রদান পূর্বক নগদ অর্থসহায়তা প্রদান।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, পর্যায়ক্রমে ফেরত আসা সবাইকে বিভিন্ন সুবিধার আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এতদিন তারা দিয়েছেন, এখন তাদেরকে আমাদের দিতে হবে।