নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্শা বার্নিকাটের মধ্যে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা দুই দেশের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও ২০২০ সালের অংশীদারিত্ব বৈঠকে চিহ্নিত সহযোগিতার ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব গভীরতর করার জন্য বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার ভেতরে-বাইরে জড়িত থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনা মহামারীর বিরূপ প্রভাবগুলো নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৫৫ লাখেরও বেশি ডোজ টিকা সরবরাহ করার জন্য মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান সালমান এফ রহমান।
করোনা মোকাবেলায় দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কথা স্মরণ করে সালমান এফ রহমান ভ্যাকসিন ও অন্যান্য মহামারী ব্যবস্থাপনা সরঞ্জামাদির বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশের দক্ষ ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহ দেয়ার জন্য মার্কিন সরকারের সহায়তা কামনা করেন। সালমান এফ রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশ এ ধরনের অংশীদারিত্বের জন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
মার্শা বার্নিকাট কভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পিপিইর পাশাপাশি ভ্যাকসিন ও থেরাপিউটিকস উৎপাদন সম্প্রসারণের পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে।
বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
