রমেক হাসপাতাল

সিলিন্ডার পাচার চেষ্টার রহস্য উদ্ঘাটন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচার চেষ্টার ঘটনায় আরো দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহনের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি-গোয়েন্দা) উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন পাবনা জেলার ভাউডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে নাছিম হোসেন (২৯) ওই জেলা সদরের শ্রীপুর পারচিথুলিয়া গ্রামের শাহিদ মেকারের ছেলে সোহেল ফকির (৪২) গ্রেফতার দুজন দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন পরিবহন চালকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশের উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে ২৩ জুলাই মোবাইল ফোনে আসামি সোহেল ফকির নিজেকে ডা. রেজাউল করিম দাবি করে দিনাজপুর ট্রাক ট্যাংকলরি কাভার্ডভ্যান ট্র্যাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের মনজুরুল আলমকে পরিচয় দেন। রমেক হাসপাতাল হতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেনের খালি সিলিন্ডার ঢাকায় প্রেরণ ঢাকা হতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার পরিবহনের কথা বলে ৪০ হাজার টাকা করে তিনটি ট্রাক ভাড়া করেন। এরপর দিনাজপুর থেকে তিনটি ট্রাক নিয়ে ছয়জন রংপুর মেডিকেল কলেজে পৌঁছানোর পর কথিত ডা. রেজাউল করিমকে ফোন করেন। অন্যপ্রান্ত থেকে প্রতারক সোহেল ফকির বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল ফ্রি করে দেয়ার কথা বলে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন সোহেল ফকির।

উপকমিশনার আবু মারুফ আরো বলেন, প্রতারক চক্রটি সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন গাড়ির পেছনে থাকা মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ট্রাকভাড়া নেয়ার কথা বলে এভাবে প্রতারণা করে আসছিল। দু-তিন বছর ধরে সারা দেশে একই কায়দায় অসংখ্য প্রতারণা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আরপিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার উজ্জ্বল কুমার, সহকারী পুলিশ কমিশনার ফারুক আহমেদ, আলতাফ হোসেন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২৩ জুলাই দুপুরে ঢাকার মহাখালীতে স্বাস্থ্য বিভাগের কেন্দ্রীয় স্টোর রুমে অক্সিজেন সিলিন্ডার নেয়ার জন্য দিনাজপুর থেকে তিনটি ট্রাক আসে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে। জমা দেয়া চালানপত্র দেখে সন্দেহ হলে স্টোর ইনচার্জ মেডিকেল প্রশাসনকে বিষয়টি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন