গাড়ির অপেক্ষায় ফেরি

দৌলতদিয়া ঘাটে দিনভর ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

দৌলতদিয়া ঘাটে গতকালও ছিল ঢাকামুখী মানুষের ভিড় ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

এতে ঈদ-পরবর্তী দৌলতদিয়া ঘাটের চিরচেনা সেই রূপ আর নেই। অনেকটা ফাঁকা অবস্থায় ফেরিগুলো পন্টুনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকে যানবাহনের জন্য। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিভিন্ন উপায়ে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা সাধারণ যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকেই রাজবাড়ী শহরের বড়পুল থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত প্রতিটি মোড়ে ছিল পুলিশের উপস্থিতি। যারা বাইরে বের হয়েছে, তাদেরই পড়তে হয়েছে নানা প্রশ্নের মুখে। আবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা চালিয়েছেন বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে ঘাট এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ছিল না তেমন কোনো নজরদারি।

ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন গতকাল ভোর থেকেই গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব যাত্রী অটোরিকশা, থ্রি হুইলারসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছে। অনেক শ্রমজীবী মানুষ ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে ফেরিঘাটে পৌঁছে। ফেরিগুলো জরুরি যানবাহন এবং বিপাকে পড়ে আসা মানুষ নিয়েই ঘাট ছেড়ে যায়।

গতকাল বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। একেবারে বিপাকে পড়া মানুষজন বৃষ্টির মধ্যেই বাইরে বের হয়েছে। কেউ হেঁটে আবার কেউ মাথায় পলিথিন মুড়ে বা রিকশায় করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছে। আবার অনেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা মাহেন্দ্র রিজার্ভ করে ঘাটে নামছে। তারা কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়েই সরাসরি ফেরিতে উঠছে।

সময় ফরিদপুর থেকে অটোরিকশায় দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রী শাহিদা বেগম জানান, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আজ থেকে অফিস খোলা। অফিসে যেতে না পারলে তো চাকরি থাকবে না। তাই অটোরিকশা রিজার্ভ করে ঘাটে এসেছেন। এখন যেকোনো উপায়ে ঢাকায় পৌঁছতে হবে।

সকাল ৯টার দিকে পাটুরিয়া থেকে আসা ইউটিলিটি ফেরি চন্দ্রমল্লিকা দৌলতদিয়ার নম্বর ঘাটে ভেড়ে। সময় ফেরিতে কয়েকটি ব্যক্তিগত পণ্যবাহী যানবাহন এবং বেশ কয়েকজন যাত্রী দেখা যায়। ফেরিটি প্রায় ঘণ্টা অপেক্ষার পর দুই শতাধিক যাত্রী, কয়েকটি মোটরসাইকেল চারটি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, উভয় ঘাটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ফেরি রয়েছে। যখন যে ঘাট থেকে জরুরি যানবাহন নিয়ে ছাড়া প্রয়োজন সেভাবেই ছেড়ে যায়। এছাড়া একটি মাঝারি আকারের ভিআইপি ফেরি রাখা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন