ইন্দোনেশিয়ার গম আমদানি হ্রাসের পূর্বাভাস মিলেছে। গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে কৃষিপণ্যটির ব্যবহারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। মূলত এ কারণেই বিশ্ববাজার থেকে গম ক্রয়ের পরিমাণ কমছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি বছর যে পরিমাণ গম উৎপাদন হয় তা দিয়ে দেশীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। ফলে দেশটি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বড় পরিসরে গম আমদানি করে থাকে। তবে ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে দেশটির গম আমদানি কমে ৯৫ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। এর আগের মৌসুমে ইন্দোনেশিয়া এক কোটি টন গম আমদানি করেছিল। এদিকে ২০২১-২২ মৌসুমে আমদানির যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল তাও কমিয়ে এনেছে ইউএসডিএ। প্রতিষ্ঠানটি বছরের শুরুতে ১ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টন গম আমদানির পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু নতুন পূর্বাভাসে তা কমে ১ কোটি ৫ লাখ টনে নেমে এসেছে।
তবে ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ার ভুট্টা আমদানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউএসডিএ জানায়, ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটির ভুট্টা আমদানি বেড়ে নয় লাখ টন ও ২০২১-২২ মৌসুমে ১৩ লাখ টনে উন্নীত হবে।