বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি শিশুর উন্নয়নে একসাথে কাজ করার আহবান প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বব্যাপী শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, সিডিআরএফ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাকে গবেষণা, অংশীদারিত্ব ও কৌশলগত সাহায্যের মাধ্যমে একসাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশ শিশুদের উন্নয়নে শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে। সরকার শিশুর উন্নয়নকে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে দুই কোটি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই প্রদান ও স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করেছে। সরকার মা ওশিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গর্ভাবস্থা থেকে তিন বছর পর্যন্ত এগার লাখ কর্মজীবি ও দরিদ্র্য মাকে ভাতা প্রদান করছে। শিশূ দারিদ্র্য হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১২.৪ শতাংশ ও অতি দারিদ্র্যের হার ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার ।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ (২৪ জুলাই) চীনের রাজধানী বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত “চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন” আয়োজিত ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও শিশু উন্নয়নে সপ্তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে’ অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে একথা বলেন।

সরকার ‘শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশে সমন্বিত নীতি ২০১৩’ বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করেছে। তেমনি ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এসডিজি গোল ৪ এর গুণগত শিক্ষা ও শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের এসডিজি অর্জনে বিশ্বের যে তিনটি দেশ সবচেয়ে এগিয়ে আছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরো বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সারা দেশে একযোগে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকার ২৮ টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে শিশুর পুষ্টি ও উন্নয়নে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে। এসময় তিনি বিশ্বের সকল শিশুর উন্নয়নে হাতে হাত রেখে এক সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।  

দারিদ্র্য বিমোচন ও শিশু উন্নয়নে সপ্তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার অব স্টেট কাউন্সিলের সেক্রেটারি Ma Jiantang, চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল Fang Jin,  চেয়ারপার্সন Li Wei ও জাতি সংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে. মোহাম্মদ।

আলোচনা পর্বে বক্তৃতা করেন চায়নার শিক্ষা মন্ত্রী Chen Baosheng, কম্বোডিয়ার শিক্ষা ও যুব মন্ত্রী Hang Chuon Naron, লাওসের শিক্ষা ও ক্রীড়া মন্ত্রী Phouth Simmalavong,  নেপালের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কৃষ্ণ গোপাল শ্রেষ্ঠ ও চায়না ন্যাশনাল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর রুরাল রিভাইটালেজেশনের মহাপরিচালক Wang Zhengpu। কনফারেন্সের এবারের প্রতিপাদ্য “টেকসই সমৃদ্ধির জন্য শিশুদের ওপর বিনিয়োগ”। আজকের এই কনফারেন্সে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা, উন্নয়ন ও উত্তম চর্চাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আটটি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইসিডি, শিক্ষা ও এসডিজি বিষয়ে বিশ্বের খ্যাতানামা রিসোর্স পার্সনবৃন্দ তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন