রাজধানীতে কোরবানির ৩২ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : মো.মানিক

ঈদের দিন দুপুর থেকে গতকাল বিকাল পর্যন্ত রাজধানীতে ৩২ হাজার ২৫১ দশমিক ৩৯ টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

এসব বর্জ্য অপসারণে দুই সিটির সাড়ে ২১ হাজার কর্মী নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এবার কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী কাজ করছেন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রায় ১০ হাজার কর্মী পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

ডিএনসিসি এলাকা থেকে পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৩৩ টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে করপোরেশন সূত্র জানায়।

গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে হাজার ৩৫৯টি ট্রিপের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৫১৮ দশমিক ৩৯ টন কোরবানির পশু হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে সিটি করপোরেশনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দুই সিটি করপোরেশনই নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছে।

প্রসঙ্গে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের বণিক বার্তাকে জানান, শুক্রবার বিকালে ৫টা পর্যন্ত দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে হাজার ৩৫৯টি ট্রিপের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৫১৮ টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ড থেকে ১৫ হাজার ৭৩৩ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণ করতে ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নকর্মী মাঠে ছিলেন।

ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান বণিক বার্তাকে জানান, ঢাকা উত্তরে শতভাগ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা এবং নগরবাসীর সহযোগিতায় কাজ সম্ভব হয়েছে।

এদিকে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগামীতে নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানি দিতে হবে। এর বাইরে অন্য কোথাও পশু কোরবানি দেয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানের নগর ভবনে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণসংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবার কোরবানির প্রথম দিনেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় তিন লক্ষাধিক পশু কোরবানি করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৭২টি নির্ধারিত স্থানে মাত্র হাজার ১৪১টি পশু কোরবানি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহায় যত্রতত্র পশু কোরবানি করা থেকে বিরত রাখার জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন বাস্তবায়ন করতে হবে। বিষয়ে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন