বার্ষিকে বার্জার পেইন্টসের মুনাফা বেড়েছে ১১ শতাংশের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৬৯ কোটি ১৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা। যা আগের বছর একই সময় হয়েছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। সে হিসাবে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী সমন্বিত নিট মুনাফা বেড়েছে ২৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা বা ১১ দশমিক ২২ শতাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ টাকা পয়সা, যা আগের বছর একই সময় হয়েছিল ৫২ টাকা ২২ পযসা।

অন্যদিকে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির এককভাবে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৫৪ কোটি ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। যা আগের বছর একই সময় হয়েছিল ২২৯ কোটি ২৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। সে হিসাবে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা এককভাবে বেড়েছে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির এককভাবে ইপিএস হয়েছে ৫৪ টাকা ৯৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৯ টাকা ৪৩ পয়সা।

৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩২ টাকা ৭৮ পয়সা এবং এককভাবে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১৩ টাকা ২৬ পয়সা।

কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী অক্টোবর সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটির -সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ আগস্ট।

চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মোট রাজস্ব আয় হয়েছে হাজার ১৩৩ কোটি লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় ছিল হাজার ২২১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। হিসাবে হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির ব্যবসা কমেছে ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বা দশমিক ২৬ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে বার্জার পেইন্টসের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৬৭ কোটি লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। হিসাবে তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে কোটি ৯১ লাখ টাকা বা দশমিক শূন্য শতাংশ। সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৪ টাকা ৯৭ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বার্জার পেইন্টসের মোট আয় হয়েছে ৫১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। হিসাবে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ব্যবসা বেড়েছে ৫১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা প্রায় ১১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৯০ কোটি ১৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৪৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১০ টাকা ৭৩ পয়সা।

৩১ মার্চ ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৯৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৫২ টাকা ২২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৪ টাকা ২৭ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২০ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছিল ২০৪ টাকা ২০ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ এবং ২০১৮ হিসাব বছরে ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে।

এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি জনসন অ্যান্ড নিকলসন (বাংলাদেশ) লিমিটেডের অধীনে দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। বার্জারের সাভারের কারখানার কাছেই নতুন ইউনিটটি স্থাপন করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পর্ষদ সাভারে সাবসিডিয়ারির দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন করবে। ২০২২ সালের মধ্যে ইউনিটটি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে।

ডিএসইতে সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ হাজার ৮৭৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে হাজার ৩০৮ টাকা ৬০ পয়সা হাজার ৯৮০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন