বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে সিটি ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৭০০ কোটি টাকার সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করবে। ব্যাংকটির ৫৯১তম পরিচালনা পর্সদ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ব্যাংক সূত্রে তথ্য জানা যায়।

তথ্যমতে, ব্যাংকটি মূলধনের প্রয়োজনীয়তা পরিপালনে ব্যাসেল--এর অধীনে সাবঅর্ডিনেটেড ৭০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে, যা ব্যাংকটির চলমান ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর ব্যাংকটি বন্ড ইস্যু করতে পারবে।

চলতি ২০২১ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সিটি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৩০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৯৮ পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময় ছিল ৭৫ পয়সা। আর চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে এককভাবে ইপিএস হয়েছে ৮১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৬৫ পয়সা। বছরের ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৩৮ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২২ দশমিক শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ১৭ দশমিক শতাংশ নগদ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে টাকা ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৫৯ পয়সা। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে সমন্বিত এনএভিপিএস হয়েছে ২৯ টাকা পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৪ টাকা ১৪ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। ২০১৮ হিসাব বছরে মোট ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। এর মধ্যে শতাংশ নগদ বাকি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরে ১৯ শতাংশ নগদের পাশাপাশি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ডিএসইতে সোমবার ব্যাংকটির শেয়ার সর্বশেষ ২৭ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৬ টাকা ২০ পয়সা ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন