খুলনায় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা গতবারের চেয়ে একটু বেশি দামে চামড়া কিনছেন। বৃহস্পতিবার খুলনার কাঁচা চামড়া কেনাবেচার সবচেয়ে বড় মোকাম শেখপাড়া চামড়া পট্টির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচ-ছয়জন পাইকারি ব্যবসায়ী রাস্তার ওপর টুল নিয়ে বসে চামড়া কিনছেন। আর ভালো দাম পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে বাজারে চামড়া এনে দাম শুনে অবাক হচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা।
নগরের ফজলুল উলুম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা গড়ে প্রতি পিস চামড়া ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি। গতবারের চেয়ে এবার প্রতি পিস চামড়া ৫০-৮০ টাকা বেশি বিক্রি হয়েছে। যশোরের একটি পার্টি এসে চামড়া নিয়ে গেছে।
নিজের কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রি করতে আসা আবু ওসমান জোবায়ের বলেন, ৬৫ হাজার ও ৯০ হাজার টাকা দামের দুটি গরু কোরবানি দিয়েছি। আশা ছিল, দুটি চামড়া কমপক্ষে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। কিন্তু বাজারে আনার পর ৩০০-৪০০ টাকা দাম বলছে। আবু ওসমান আরো বলেন, তিন বছর আগেও এ রকম দুটি চামড়া ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু এ বছর তো সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু পাইকাররা তা মানছেন না।
আবু জাফর নামের এক পাইকার বলেন, ট্যানারিতে গড়ে প্রতি পিস চামড়া ৫০০ টাকা হিসাব করে। আমরা সেখানে ৬০০ টাকায়ও চামড়া কিনছি। তাছাড়া চামড়াপ্রতি লেবার, লবণসহ অন্যান্য সব মিলিয়ে আরো ২০০-৩০০ টাকা ব্যয় আছে।
খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ঢালী বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে পুঁজির স্বল্পতা নিয়ে তারা দুরাবস্থায় আছেন। গত বছর প্রতি বর্গফুট লবণ লাগানো চামড়া ২৭ টাকা দাম ছিল। এ বছর তা ৩২ টাকা হয়েছে। সালাম ঢালী বলেন, ছাগলের চামড়ার কোনো দাম নেই। যার কারণে কোনো ব্যবসায়ী এ বছর ছাগলের চামড়া কিনছেন না।