২৪ ঘণ্টায় আরো ১৬৬ জনের মৃত্যু

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : পলাশ শিকদার

দেশে সকাল ৮ পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ৬ হাজার ৩৬৪ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। দেশে কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৩৯টি পরীক্ষাগারে ২০ হাজার ৪৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৪ জন আর মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৮৫১ জনের। সর্বশেষ ৯ হাজার ৬ জনের সুস্থতায় এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হওয়া কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৬ জন। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ০৫ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৩৫ ও মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৬০ জন। এছাড়া খুলনায় ৩৩, চট্টগ্রামে ৩৩, রাজশাহীতে ৭, বরিশালে ১০, সিলেটে ৮, রংপুরে ১২ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

 গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯৫ জন পুরুষ এবং ৭১ জন নারী। মৃতদের ১২৩ জন সরকারী হাসপাতালে, ৩৯ জন বেসরকারী হাসপাতালে এবং ৪ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন । এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৯৭১ জন এবং নারী ৫ হাজার ৮৮০ জন।

 বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮৬ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩২, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৫, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন মারা গেছেন।  

দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের মার্চে। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণের হার ওঠানামা করলেও গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে দেশে মহামারী পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে গত ৮ মে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয় ধরন) সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। শক্তিশালী করোনার এ ধরনটির কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (গোষ্ঠীগত সংক্রমণ) শুরু হয় গত মাসের শুরুর দিকে। দেশে মহামারী পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নেয়ার পেছনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন