মহাকাশ ভ্রমণ করে এলেন জেফ বেজোস

বণিক বার্তা অনলাইন

নিজের রকেট নিউ শেপার্ডে করে মহাকাশ ভ্রমণ করে ফিরেছেন বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোস।  এ ভ্রমণে সঙ্গে ছিলেন তার ভাই মার্ক বেজোস, ৮২ বছর বয়সী ওয়ালি ফাংক এবং ১৮ বছর বয়সী একজন শিক্ষার্থী। 

বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা একটি ক্যাপসুলে করে এই ভ্রমণ করেছেন। ক্যাপসুলের জানালাগুলো বড় থাকায় তারা পৃথিবীর চমৎকার দৃশ্য উপভোগের সুযোগ পেয়েছেন। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডের এ ভ্রমণ শেষে বেজোস মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে ‘সেরা দিন' বলে অভিহিত করেছেন।  

এই ফ্লাইটে মহাকাশে যাওয়া সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে রেকর্ড গড়েন ফাংক। মহাকাশে যাওয়া সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি অলিভার ডিমেনও এ যাত্রার সঙ্গী ছিলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে টেক্সাসের ভ্যান হর্নের কাছে একটি ব্যক্তিগত উৎক্ষেপণ সাইট থেকে মহাকাশযানটি উড্ডয়ন করে। 

উড্ডয়নের দুই মিনিট পরে ক্যাপসুলটি তার রকেট থেকে আলাদা হয়ে কার্মান লাইনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। কার্মান লাইন মহাকাশের সীমানা হিসেবে স্বীকৃত এবং এটি পৃথিবী থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত। ক্যাপসুলটি পশ্চিম টেক্সাসের মরুতে অবতরণের আগে প্রায় সর্বোচ্চ ১০৭ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল।

ফ্লাইটের পরে ব্রিফিংয়ে চার মিনিটের ওজনহীনতার সময় ক্যাপসুলে থাকা আরোহীরা ডিগবাজি খাচ্ছেন, উল্টে পড়ে যাচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও দেখানো হয়। সেখান থেকে পৃথিবীর অত্যাশ্চর্য দৃশ্যগুলোও দেখা যাচ্ছিল। 

ফাংক বলেন, এটি দুর্দান্ত ছিল, আমি এটি পছন্দ করেছি, আবার যাওয়ার জন্য তর সইছে না আমার। 

বেজোস উড়োজাহাজের ইতিহাসের আইকনিক কিছু বিষয় ফ্লাইটে নিয়ে গিয়েছিলেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রাইট ব্রাদার্সের প্রথম বিমানে একটি ক্যানভাসের টুকরা, ১৭৮৩ সালে প্রথম উষ্ণ বায়ু বেলুন উড়োজাহাজ চালনা করা গাড়ি থেকে তৈরি একটি মেডেলিয়ান এবং পাইলট আমেলিয়া ইয়ারহার্টের ব্যবহৃত এক জোড়া গগল বা চশমা। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন